হস্তশিল্পীরা বিশেষ স্বীকৃতি ও সুনাম পেতে পারেন। পারিবারিক ক্ষেত্রে চাপ। ব্যয় কিঞ্চিৎ বাড়তে পারে। ... বিশদ
হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, পৃথক বার্ন ওয়ার্ড করার পরিকল্পনা দীর্ঘদিন ধরেই ছিল। এই ওয়ার্ড তৈরির জন্য টাকাও চলে আসে। প্রথমে ঠিক হয়, হাসপাতারেল নিউ বিল্ডিংয়ের একাংশে বার্ন ওয়ার্ড তৈরি করা হবে। কিন্তু, বেশ কয়েকবার পরিদর্শনের পর স্বাস্থ্যদপ্তর সবুজ সংকেত দেয়নি। নিউ বিল্ডিংয়ের স্বাস্থ্যের মাপকাঠি ঠিক না থাকায় পরিকল্পনা বাতিল করা হয়। তারপর শুরু হয় নতুন জায়গার খোঁজ। আগে রাধারানি ওয়ার্ডটি মেডিসিন বিভাগ ছিল। বছর কয়েক আগে হাসপাতালের জরুরি বিভাগের সামনে জি-প্লাস সেভেন ভবনে রাধারানি ওয়ার্ড স্থানান্তরিত হয়। মেডিসিন বিভাগটি বর্তমানে সেখানে অবস্থিত। এরপর রাধারানি ভবনে কোভিড চিকিৎসা করা হচ্ছিল। আপাতত সেখানেই বার্ন ওয়ার্ড তৈরির ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। পূর্তদপ্তরকে এই ভবন ভেঙে ফেলার জন্যও বলা হয়েছে। স্বাস্থ্যদপ্তর থেকে তার অনুমতিও মিলেছে।
হাসপাতাল সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, অত্যাধুনিক বার্ন ওয়ার্ডের জন্য সাড়ে ছ’কোটি টাকা হাসপাতালের হাতে রয়েছে। বৃহস্পতিবার রাজ্য স্বাস্থ্যভবনে এবিষয়ে একটি বৈঠক হয়েছে। সেখানেও এই প্রকল্প নিয়ে সবুজ সংকেত মিলেছে। বর্ধমান ছাড়াও রাজ্যের ছ’টি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে বার্ন ওয়ার্ড করা হচ্ছে। হাসপাতালের সুপার ডাঃ তাপস ঘোষ বলেন, বার্ন ওয়ার্ডে আইসিইউ, অপারেশন থিয়েটারের পাশাপাশি প্লাস্টিক সার্জারির ব্যবস্থাও থাকবে। এক ছাদের তলায় পোড়া রোগীদের চিকিৎসা, ভর্তি থেকে শুরু করে সব সুবিধা মিলবে বলে তাঁর আশ্বাস।
উল্লেখ্য, বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পোড়া রোগীর চাপ বেশি থাকে। মৃত্যুর সংখ্যাও নেহাত কম নয়। দুর্ঘটনাজনিত পোড়া, সাংসারিক কারণে গায়ে আগুন দিয়ে আত্মহত্যা বা পুড়িয়ে মারার চেষ্টা, শীতের আগুন পোহানোর সময় অগ্নিদগ্ধ হওয়ার মতো ঘটনায় প্রতিদিনই হাসপাতালে রোগীরা ভর্তি হয়। শীতের দিকে এই সংখ্যা আরও বৃদ্ধি পায়। চলতি বছরের প্রথম পাঁচ মাসেই ১৯২জন অগ্নিদগ্ধ রোগী হাসপাতালে ভর্তি হন। তার মধ্যে মারা যান ৫৮জন। বিশেষ সুবিধাযুক্ত বার্ন ওয়ার্ডের প্রয়োজনীয়তা এই তথ্য থেকে স্পষ্ট। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি, নতুন ওয়ার্ড হলে রোগীদের উপকার হবে।