হস্তশিল্পীরা বিশেষ স্বীকৃতি ও সুনাম পেতে পারেন। পারিবারিক ক্ষেত্রে চাপ। ব্যয় কিঞ্চিৎ বাড়তে পারে। ... বিশদ
সরকারি পাট্টা ও বর্গাকৃত জমি দখলের অভিযোগ ঘিরে বেশ কিছুদিন ধরেই উত্তাল শান্তিনিকেতনের কোপাই নদী সংলগ্ন একটি বেসরকারি আবাসন। যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, সেই আবাসন প্রকল্পটি পাড়ুই থানার সাত্তোর গ্রাম পঞ্চায়েতের কসবা এলাকায়। ওই আবাসন প্রকল্পের প্রথম পর্যায়ের কাজটি ৫২ বিঘা জমিজুড়ে রয়েছে। সেখানে রয়েছে প্রচুর বিলাসবহুল কটেজ। যার অধিকাংশই বিক্রি হয়ে গিয়েছে। তাই মুনাফার কথা মাথায় রেখে ওই আবাসনের পাশেই ২২ বিঘা জমির উপর নতুন করে দ্বিতীয় পর্যায়ের নির্মাণ শুরু করে সংস্থাটি। আর তাতেই বিতর্কের সূত্রপাত হয়। স্থানীয় আদিবাসীদের অভিযোগ, ওই ২২ বিঘা জমি এলাকার প্রভাবশালীদের মদতে বলপূর্বক লিখিয়ে নেওয়া হয়েছে। এই জমি মধ্যের আদিবাসীদের বর্গা-পাট্টা জমি যেমন রয়েছে তেমনি রয়েছে চাষের জমিও। অভিযোগ, প্রভাবশালীরা কার্যত প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে পাট্টাকৃত সরকারি ওই জমি থেকে প্রকৃত জমি মালিকদের বেদখল করে। পরবর্তীতে ওই আদিবাসীরা বীরভূমের জেলাশাসক ও জেলা পরিষদের সভাধিপতির কাছে লিখিত অভিযোগ করেন। বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমের সেই খবর প্রকাশিত হতেই প্রশাসন ওই বেসরকারি সংস্থাকে নির্মাণ বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয়। এমনকী, ঘটনা তদন্ত সাপেক্ষে বুধবার, এডিএম (এল.আর.) অসীম পালের নেতৃত্বে ভূমি ও ভূমি সংস্কার দপ্তরের আধিকারিকরা কসবা পঞ্চায়েতের আর আই অফিসেও নথি খতিয়ে দেখেন। প্রশাসন তদন্ত শুরু করতেই জমি ফেরতের দাবিতে এলাকায় উত্তপ্ত পরিস্থিতি তৈরি হয়। এদিন ওই আবাসনের সামনে দিনভর জমিহারারা বিক্ষোভ দেখান। জমিহারাদের মধ্যে পার্বতী রায়, মুনি সোরেনরা বলেন, প্রভাবশালীদের মদতে ওই জমি হরফ করা হয়েছে। আমরা তা ফেরত চাই। না হলে আমরা বৃহত্তর আন্দোলনে নামব। যদিও বেসরকারি আবাসনের পক্ষে প্রজেক্ট ম্যানেজার মহাদেব মণ্ডল এদিন বলেন, প্রশাসনিক তদন্তের কারণে নির্মাণ বন্ধ রয়েছে। আমরা প্রশাসন ও স্থানীয়দের সহযোগিতা করতে বদ্ধপরিকর। এই আশ্বাস মেলায় আদিবাসীরা এ দিনের মতন আন্দোলন প্রত্যাহার করে নেন।