ব্যবসা ভালো হবে। কেনাবেচা ক্রমশ বাড়বে। অর্থাগম ভাগ্য আজ অনুকূল। দেহে দুর্বলতা। ... বিশদ
গত ১২ সেপ্টেম্বর সকালে আমিজুল কুমেদপুরে এটিএমে টাকা তুলতে যাওয়ার পর থেকে হদিশ মিলছিল না। পরেরদিন পরিবারের লোকেরা কুমেদপুর ফাঁড়িতে নিখোঁজ ডায়েরি করেন। ১৮ তারিখ সন্ধ্যায় আমিজুলের দিদির মোবাইলে ছবি পাঠিয়ে খুন করার দাবি করে অপহরণকারীরা। এরপর পুলিস আমিজুলের ফোন নম্বর ট্র্যাক করে দেখে ক্রমাগত তার লোকেশন পরিবর্তন হচ্ছিল। তার শেষ লোকেশন ছিল দিল্লির চুনামান্ডিতে। দিল্লি পুলিসের সঙ্গে যোগাযোগ করে হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিস লোকেশন পাঠিয়ে ঘটনাটি জানায়। হরিশ্চন্দ্রপুর থানার আইসি মনোজিৎ সরকার দুই অফিসারকে দিল্লি যাওয়ার নির্দেশও দেন। বৃহস্পতিবার রাতে ওই এলাকার হোটেল থেকে আমিজুলকে গ্রেপ্তার করে দিল্লি পুলিস। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, পরিযায়ী শ্রমিক আমিজুল দু’মাস আগে বাড়ি ফিরে কিস্তিতে পণ্যবাহী গাড়ি কিনেছিলেন। সেজন্য প্রতিমাসে ৪০ হাজার টাকা দিতে হয়। গাড়ি কেনার সময় শ্বশুরের কাছ থেকে দেড় লক্ষ ও ভাইয়ের কাছ থেকে লক্ষাধিক টাকা ধার নিয়েছিলেন তিনি। তাঁর আরও ঋণ ছিল। ১২ তারিখ কিস্তির টাকা জোগাড় করতে না পেরে অপহরণের গল্প ফাঁদেন তিনি। আমিজুলের বাবা ওবাইদুর রহমান বলেন, ছেলে নতুন গাড়ি কেনার জন্য শ্বশুর ও ভাইয়ের কাছে তিন লক্ষ টাকা ধার নিয়েছিল। তবে সে অপহরণের গল্প ফাঁদবে কল্পনা করিনি। আইসি মনোজিৎ সরকার বলেন, নিখোঁজ হওয়ার সাতদিনের মধ্যে যুবককে দিল্লি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।