হস্তশিল্পীরা বিশেষ স্বীকৃতি ও সুনাম পেতে পারেন। পারিবারিক ক্ষেত্রে চাপ। ব্যয় কিঞ্চিৎ বাড়তে পারে। ... বিশদ
হরিরামপুর ব্লক ভূমি সংস্কার দপ্তর সূত্রে খবর, দিদা তালো বিবির অংশের জাল দলিল জমা করে নিজের নামে ৬ শতক জমি রেকর্ড করতে মঙ্গলবার দপ্তরে আসে সিরাজুল। প্রায় ২০ দিন আগে মিউটেশন করার জন্য নথি জমা করে অভিযুক্ত। সেসব যাচাই করতে গিয়ে সন্দেহ হয় ব্লক ভূমি সংস্কার দপ্তরের আধিকারিক দীপেশকুমার মল্লিকের। অভিযুক্তের অপেক্ষায় ছিলেন তিনি। মঙ্গলবার অভিযুক্ত দপ্তরে আসতেই আধিকারিক জাল দলিল নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। কথায় অসঙ্গতি ধরা পড়তেই খবর দেওয়া হয় হরিরামপুর থানায়। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে পুলিস।
দীপেশ অভিযুক্তের নামে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। বুধবার পুলিস অভিযুক্তকে গঙ্গারামপুর মহকুমা আদালতে তুললে বিচারক ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন। ভূমি দপ্তর জানিয়েছে, অভিযুক্ত তার শরিকের ১৩ জনকে বিবাদী করে মিউটেশনের আবেদন জানায়। ১৩ জনের নামে নোটিশ ইস্যু হলেও অজ্ঞাত কারণে কেউ শুনানির দিন দপ্তরে উপস্থিত হননি। আধিকারিকদের আশঙ্কা, নোটিশ যাতে পরিবারের কেউ হাতে না পায়, সেটা নিশ্চিত করেছিল অভিযুক্ত।
দীপেশ বলেন, অনলাইনে জাল দলিল সহ ব্যক্তিগত তথ্য দিয়ে আবেদন করে দলিলের নথি জমা করেছিল অভিযুক্ত। অনলাইন ব্যবস্থা থাকায় দলিল নম্বর দিলেই অফিসিয়াল কপি আমরা দেখতে পাই। আসল দলিলের সঙ্গে জালের বিস্তর ফারাক ছিল। সমস্ত নথি যাচাই করেই আমরা মিউটেশনের কাজ করে থাকি।
পুলিস ও ভূমি দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত ভূমি সংস্কার দপ্তরের সামনে বসে মুহুরির কাজ করত বিভিন্ন সময়ে। বাড়িতে কম্পিউটারের মাধ্যমে জাল দলিল তৈরি এবং সাব রেজিস্টারদের সই জাল করেছিল বলে বলে জেরায় স্বীকার করেছে অভিযুক্ত।
হরিরামপুর থানার আইসি অভিষেক তালুকদার বলেন, অভিযুক্ত জাল দলিল তৈরির কথা স্বীকার করেছে। পরিবারের যেসব সদস্যকে বঞ্চিত করে সম্পত্তি হাতানোর চেষ্টা করছিল, তাঁদেরও জিজ্ঞাসাবাদ করছি। অভিযুক্ত মুহুরির কাজ করত। আরও জাল দলিল তৈরি করেছে কিনা তদন্ত চলছে।