বিদ্যায় অধিক পরিশ্রম করতে হবে। ব্যবসায় যুক্ত ব্যক্তির পক্ষে দিনটি শুভ। প্রেম-প্রীতিতে আগ্রহ বাড়বে। নতুন ... বিশদ
বালুরঘাট কেন্দ্রীয় সংশোধানাগারের সুপারিনটেনডেন্ট দর্জি ভুটিয়া বলেন, সংশোধানাগারের ভেতর থেকে ২১টি মোবাইল ফোন পাওয়া গিয়েছে। কিছু মোবাইল বন্দিদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। কিছু লুকিয়ে রাখা ছিল। আমাদের অভিযান চলছে। আমরা এখনও পর্যন্ত উদ্ধার হওয়া মোবাইল ফোন বালুরঘাট থানায় জমা দিয়েছি। পুলিস তদন্ত করছে। বাইরে থেকে ওসব মোবাইল ফোন সরবরাহ করত। কিভাবে তা যেতে আমরা খতিয়ে দেখছি। যাতে ওই ঘটনার পুনরাবৃত্তি না হয় সেজন্য ১৪ জনের একটি টিম করা হয়েছে। পাশাপাশি সংশোধানাগারের বাইরে নজরদারির জন্য ২০ জন সিভিক ভলান্টিয়ার পুলিসের কাছে চাওয়া হয়েছে। বন্দিদের কিছু সমস্যা নিয়ে আন্দোলনে নেমে ছিল। আমরা তাদের সঙ্গে কথা বলে সেগুলি মেটানোর চেষ্টা করছি।
যদিও এনিয়ে বালুরঘাট থানার পুলিস বিস্তারিত কিছু বলতে চায়নি। পুলিস জানিয়েছে, সংশোধনাগার থেকে ২১টি মোবাইল ফোন দেওয়া হয়েছে। সেসব পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে।
বালুরঘাট কেন্দ্রীয় সংশোধানাগারে এখন ৬০০ ওপরে বন্দি রয়েছে। তাদের মধ্যে খুন, ডাকাতি, ধর্ষণ সহ বিভিন্ন অপরাধে সাজাপ্রাপ্ত বন্দিরা থাকে। অনেকের মামলার নিষ্পত্তি না হওবার কারণে তাদের জেল হেফাজতে রাখা হয়েছে। জেলা সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার সংশোধনাগারের কর্মীদের নজরে আসে বন্দিদের কয়েকজন মোবাইল ফোন ব্যবহার করছে। তা নজরে আসতেই তারা গোটা ঘটনা কর্তৃপক্ষের নজরে আনে। এরপর সংশোধনাগারের প্রতিটি সেলে করারক্ষীরা অভিযান চালান। তাঁরা অভিযান চালিয়ে কয়েকজন বন্দির কাছ থেকে মোবাইল ফোন পান। লুকিয়ে রাখা কয়েকটি মোবাইল ফোনও মেলে। সবমিলিয়ে মোট ২১টি মোবাইল উদ্ধার হয়। যদিও উদ্ধার হওয়া প্রতিটি মোবাইল ফোনই সাধারণ মানের। এত সংখ্যাক মোবাইল ফোন জেলের ভেতরে কীভাবে এল তা আধিকারিকদেরও ভাবাতে শুরু করছে। পরে কারাকর্মীরা বন্দিদের জিজ্ঞাসাবাদ করে জানতে পারে সংশোধানাগারের বাইরে কিছু ব্যক্তি রয়েছে যারা তাদের পরিবারের সঙ্গে কথা বলার জন্য নির্দিষ্ট টাকা নিয়ে মোবাইল ফোন ভেতরে পৌছে দিয়েছে। আবার অনেকে বলে জেলের বাইরে থেকে মোবাইল ছুঁড়ে দিয়েছে। যদিও তাদের এসব কথার পেছনে কারাকর্মীরা নির্দিষ্টভাবে কোনও প্রমাণ পাননি। ওই মোবাইল ফোনের মাধ্যমে তারা কাদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পুলিস তা খতিয়ে দেখতে শুরু করেছে। কললিস্ট ঘেটে দেখছে বালুরঘাট থানার পুলিস। জেলার ভেতরের দুষ্কৃতীরা বাইরের অপরাধীদের সঙ্গে যোগাযোগ করে কোনও ঘটনা ঘটিয়েছে কি না তা পুলিস ওই সমস্ত বিষয়ে বন্দিদের জিজ্ঞসাবাদ করবে বলে স্থির করেছে।