ব্যবসা ভালো হবে। কেনাবেচা ক্রমশ বাড়বে। অর্থাগম ভাগ্য আজ অনুকূল। দেহে দুর্বলতা। ... বিশদ
২০২০ সালের জাতীয় শিক্ষা নীতিতে বিভিন্ন দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিকে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে নয়াদিল্লি। লক্ষ্য একটাই- ভারতকে ‘গ্লোবাল স্টাডি ডেস্টিনেশন’ হিসেবে তুলে ধরা। তারই অংশ হিসেবে হরিয়ানার গুরুগ্রামে ক্যাম্পাস চালু করতে চলেছে সাউদাম্পটন বিশ্ববিদ্যালয়। জানা গিয়েছে, ‘ট্রিপল হেলিক্স’ নীতি মেনে সম্প্রসারণ হবে ধাপে ধাপে। পুরোটাই হবে শিক্ষা, গবেষণা, বাণিজ্য এবং জ্ঞানের আদান-প্রদানকে ভিত্তি করে। এর মাধ্যমে দেশে থেকেই একাধিক বিষয় নিয়ে উচ্চশিক্ষার সুযোগ পাবে পড়ুয়ারা।
দীর্ঘদিন ধরে সাউদাম্পটন বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষ এবং আন্তর্জাতিক দপ্তরকে কৌশলগত পরামর্শ দিয়ে আসছে ইন্ডিয়ান বিজনেস গ্রুপ। বিশেষজ্ঞ মহলের মতে, ভারতের সঙ্গে অংশীদারিত্ব, শিল্পক্ষেত্রে যোগাযোগ এবং বাণিজ্য বৃদ্ধির ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে এই সংগঠন। আইবিজির সিইও অমরজিত সিংয়ের কথায়, ‘ভারত-ব্রিটেন ক্রমবর্ধমান দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ইতিহাসে এটি একটি উল্লেখযোগ্য মাইলফলক। সাউদাম্পটন বিশ্ববিদালয়ের সঙ্গে কৌশলগত পরামর্শদাতা হিসেবে কাজ করতে পেরে আমরা গর্বিত। শিক্ষা, গবেষণা এবং উদ্ভাবনকে ভিত্তি করেই তৈরি হয় দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক। এই পদক্ষেপের মাধ্যমে শিক্ষার উন্নতির পাশাপাশি তৈরি হবে শিল্প এবং প্রশাসনিক কর্মকাণ্ডের এক অভাবনীয় মেলবন্ধন।’
ইউরোপের অন্যতম শ্রেষ্ঠ বিশ্ববিদ্যালয় সাউদাম্পটন। এয়ারবাস, রোলস রয়েস, মাইক্রোসফ্ট সহ বিভিন্ন খ্যাতনামা আন্তর্জাতিক সংস্থার সঙ্গে যুক্ত ব্রিটেনের এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। ২০১৯ সালে ইন্ডিয়া সেন্টার চালু করেছিল সাউদাম্পটন বিশ্ববিদ্যালয়। এবার ভারতে ক্যাম্পাস চালুর সুযোগ পেয়ে রীতিমতো উচ্ছ্বসিত বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। সাউদাম্পটনের ভাইস প্রেসিডেন্ট ইন্টারন্যাশনাল প্রফেসর অ্যান্ড্রু অ্যাথারটন বলেন, ‘ভারতে ক্যাম্পাস চালুর অনুমতি পেয়ে আমরা অত্যন্ত খুশি। এই পদক্ষেপের মাধ্যমে দুই দেশের মধ্যে অংশীদারিত্ব আরও বৃদ্ধি পাবে। দীর্ঘদিন ধরে ইন্ডিয়ান বিজনেস গ্রুপের সঙ্গে কৌশলগত বিষয় নিয়ে আলোচনা চলছে। আশা করি, বাণিজ্য সহ একাধিক ক্ষেত্রে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও দৃঢ় করবে এই ক্যাম্পাস।’