ব্যবসা ভালো হবে। কেনাবেচা ক্রমশ বাড়বে। অর্থাগম ভাগ্য আজ অনুকূল। দেহে দুর্বলতা। ... বিশদ
২০১১ সালে ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের ঢাকা সফরের সময় দু’দেশের মধ্যে তিস্তা জলবণ্টন চুক্তি স্বাক্ষরিত হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আপত্তির জেরে সেই চুক্তি আর হয়নি। এই চুক্তি হলে উত্তরবঙ্গের মানুষের সমস্যা হবে বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন মমতা।
শেখ হাসিনার পতনের পরে মাসখানেক হল বাংলাদেশে নতুন সরকার গঠিত হয়েছে। ক্ষমতায় বসেই তারা তিস্তা জলবণ্টন নিয়ে ফের তৎপর হয়েছে। ঢাকায় সংবাদ সংস্থাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে মহম্মদ ইউনুস মন্ত্রিসভার জলসম্পদ উপদেষ্টা জানিয়েছেন, তিনি আশাবাদী যে ভারতের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে তিস্তা চুক্তি ও জলবণ্টন নিয়ে সমঝোতায় পৌঁছনো যাবে। তা না হলে আন্তর্জাতিক আইনি নথি ও নীতি সামনে রেখে ময়দানে নামার কথা চিন্তাভাবনা করবে বাংলাদেশ।
এই প্রসঙ্গে তিনি বলেছেন, ‘তিস্তা জলবণ্টন নিয়ে আমি বাংলাদেশের সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করেছি। সবার মতামত যে, তিস্তা চুক্তি নিয়ে আমাদের আলোচনা ফের শুরু করা উচিত। এছাড়াও আমাদের গঙ্গা চুক্তি নিয়েও কাজ করতে হবে। দু’বছরের মধ্যে এই চুক্তির মেয়াদ শেষ হতে চলেছে।’
তাঁর আরও সংযোজন, ‘তিস্তা জলবণ্টন চুক্তি নিয়ে দু’পক্ষই সহমত হয়েছিল। সেই অনুযায়ী খসড়াও তৈরী হয়ে যায়। কিন্তু চুক্তি স্বাক্ষর হয়নি। আসল ঘটনা হল, আমরা চুক্তি চূড়ান্ত করতে ব্যর্থ হয়েছি। সুতরাং চুক্তির খসড়া পর্ব থেকে আমাদের ফের শুরু করতে হবে এবং আলোচনা প্রক্রিয়া ফের শুরু করার জন্য ভারতের কাছে আবেদন করতে হবে।’