ব্যবসা ভালো হবে। কেনাবেচা ক্রমশ বাড়বে। অর্থাগম ভাগ্য আজ অনুকূল। দেহে দুর্বলতা। ... বিশদ
শনিবার ঢাকায় সাংবাদিক সম্মেলন করেন বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের ছাত্র সংগঠনের নেতারা। ছাত্র ঐক্য পরিষদের আহ্বায়ক সজীব সরকার বলেন, ‘শুধু জোর করে পদত্যাগ নয়, সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের কর্মীদের শারীরিক নিগ্রহও করা হচ্ছে। শেখ হাসিনা ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর এখনও পর্যন্ত ৪৯ জন সংখ্যালঘু শিক্ষককে জোর করে চাকরি ছাড়তে বাধ্য করা হয়েছে। যদি পরে চাপে পড়ে তারমধ্যে পুনর্বহাল করা হয়েছে ১৯ জনকে।’ এছাড়াও সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের বাড়ি ও দোকানপাট, লুটপাট, মন্দির ভাঙচুর, মহিলাদের নিগ্রহ, প্রাণনাশের হুমকি ও খুন করা হচ্ছে বলে সজীব অভিযোগ করেছেন। হাসিনার সরকারের পতনের পর বাংলাদেশের অন্তত ৫২টি জেলায় সংখ্যালঘুদের উপর নির্যাতনের ২০৫টি ঘটনা ঘটেছে বলে দাবি করেছে হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ। এব্যাপারে নিজের অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরেন চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জের গল্লা আদর্শ কলেজের অধ্যক্ষ হরিহর দাস। তিনি বলেন, ‘আমাকে পদত্যাগ করার জন্য হুমকি দেওয়া হচ্ছে। হাসিনার সরকারের পতনের পর ফরিদগঞ্জে লুটপাট ও বাড়িতে ভাঙচুর চালানো হয়। আমি ও পরিবারের সদস্যরা কোনওরকমে পালিয়ে প্রাণ বাঁচাই। পরে আমার পরিবার বাড়ি ফিরলেও আমি পারিনি। আমাকে ক্রমাগত হুমকি দেওয়া হচ্ছে।’
এদিকে, ছাত্র অন্দোলনের সময় বিভিন্ন থানা থেকে লুট করা অস্ত্র আগামী ৩ সেপ্টেম্বরের মধ্যে জমা দেওয়ার আহ্বান জানাল বাংলাদেশ পুলিস। রবিবার পুলিসের তরফে জানানো হয়েছে, আন্দোলনের সময় বিভিন্ন থানা থেকে অন্তত ৩ হাজার ৮৭২টি অস্ত্র লুট হয়। এছাড়া ২ লক্ষ ৮৬ হাজার ২১৬ রাউন্ড গুলি, ২২ হাজার ২০১ টিয়ার গ্যাসের শেল এবং ২ হাজার ১৩৯টি গ্রেনেড চুরি করে নিয়ে পালায় দুষ্কৃতীরা। মঙ্গলবারের মধ্যে এসব অস্ত্র ফেরত দেওয়া না হলে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে পুলিস।