মাঝেমধ্যে মানসিক উদ্বেগের জন্য শিক্ষায় অমনোযোগী হয়ে পড়বে। গবেষণায় আগ্রহ বাড়বে। কর্মপ্রার্থীদের নানা সুযোগ আসবে। ... বিশদ
আনুষ্ঠানিকভাবে ব্রেক্সিট কার্যকর হলেও আগামী ১১ মাস ‘ট্রানজিশন পিরিয়ডে’ ইইউয়ের সঙ্গে কার্যত জুড়েই থাকবে ব্রিটেন। এই সময়কালে নতুন বাণিজ্য সম্পর্ক নিয়ে বন্ধুত্বপূর্ণ আলোচনা ও দর কষাকষির প্রক্রিয়া চালাতে আগ্রহী বরিস জনসন। নিজেই জানিয়েছেন, ইইউ এবং ব্রিটেনের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সহযোগিতার নতুন যুগের সূচনা হল। গতকাল মধ্যরাতের পার্লামেন্ট স্কোয়ারে ব্রেক্সিট উদযাপনের জড়ো হয়েছিলেন বহু মানুষ। কোনও ফুটবল ম্যাচের জয় উদযাপনের থেকে তা কোনও অংশে কম ছিল না। স্কোয়ারজুড়ে মধ্যবয়সিরা ইউনিয়ন ফ্ল্যাগ জড়িয়ে উল্লাসে মেতে উঠেছেন।
এত আনন্দের মধ্যেও অবশ্য লন্ডনের প্রাণ ‘বিগ বেন’ ছিল নীরব। সংস্কারের কাজ চলছে। তার জায়গায় একটি বাড়িতে তৈরি ‘লিটল বেন’ প্রদর্শিত হয়েছে। যাতে ছিল একটি ঘণ্টা ও একটি বেস ড্রাম। ব্রেক্সিটপন্থীরা অবশ্য এই রাতেও সরব ছিলেন ধনকুবের জর্জ সোরসের ‘বিনিয়োগ’ করা ‘ভুয়ো’ সংবাদমাধ্যমগুলির বিরুদ্ধে। ‘লিটন বেনে’র কাছে একটি স্টল দিয়েছিল ‘সভেরিন সিটিজেন্স অ্যালায়েন্স’ নামে একটি গোষ্ঠী। যাদের বক্তব্য, ব্রিটিশদের ‘ঈশ্বরদত্ত অধিকার’ ফেরাতে ২০২০ রেস্টোরেশন বিল আনা হোক। এছাড়া সরকারি দপ্তরে ইইউ পতাকা, সাংস্কৃতিক মার্কসীয় এজেন্ডায় নিষেধাজ্ঞা জারি এবং আগ্নেয়াস্ত্র বহনের অধিকার দেওয়ার দাবিও জানিয়েছে তারা।
ব্রেক্সিট উদযাপনে ছিলেন সেলিব্রেটিরাও। যদিও প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী টোনি ব্লেয়ার, বিবিসি এবং জন মেজর বক্তব্য রাখার সময় আকারে ইঙ্গিতে অবজ্ঞা করেন উপস্থিত দর্শকরা। অন্যদিকে, ওইদারস্পুন কর্তা টিম মার্টিন, এমপি পিটার বোন এবং সাহিত্যিক জুলিয়া হার্টলে-ব্রেওয়াররা অবশ্য প্রায় নায়কের মর্যাদা পেয়েছেন। প্রায় গোটা রাত কানায় কানায় পূর্ণ ছিল পার্লামেন্ট স্কোয়ার। ব্রেক্সিট পার্টির নেতা নাইজেল ফারাজকে নিয়ে উচ্ছ্বাস ছিল দেখার মতো। তিনি বলেন, ‘মনে রাখবেন যা এখন হচ্ছে, এর অর্থ আর পিছনে ফিরে যাওয়া যাবে না। আমরা কোনওমতেই পিছু ফিরব না।’
ব্রেক্সিট কার্যকরের পর প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বাকি নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি পূরণ করেন কি না, তার দিকে আগ্রহ সহকারে তাকিয়ে রয়েছেন ব্রিটিশরা। প্রধানমন্ত্রী কীভাবে ব্রাসেলস, ওয়াশিংটন এবং অন্যান্য প্রধান দেশগুলির সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তি আলোচনা করবেন, তা নিয়ে জল্পনা চলছে।
ঘড়ির কাঁটা তখন রাত ১১টা ছুঁইছুঁই করছে। ব্রেক্সিটের সাফল্য নিয়ে তখন আত্মবিশ্বাসে ফুটছেন ব্রিটেনের বিদেশমন্ত্রী ডোমিনিক রাব। সাফ জানালেন, ‘আমরা উচ্চাকাঙ্ক্ষী, আত্মবিশ্বাসী এবং আশাবাদী।’ তিনি যাই বলুন, আগামীদিনে আরও চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি যে হতেই হবে, সেব্যাপারে নিশ্চিত বরিস জনসন। সকলকে সেব্যাপারে সতর্কও করেছেন প্রধানমন্ত্রী।