মাঝেমধ্যে মানসিক উদ্বেগের জন্য শিক্ষায় অমনোযোগী হয়ে পড়বে। গবেষণায় আগ্রহ বাড়বে। কর্মপ্রার্থীদের নানা সুযোগ আসবে। ... বিশদ
গতকাল চীনের জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশন জানিয়েছিল, এপর্যন্ত এই ভাইরাসের জেরে প্রাণ হারিয়েছেন ৩০৪ জন। তারপরেই ফিলিপিন্সে ৪৪ বছর বয়সি এক চীনা নাগরিকের মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়। জানা গিয়েছে, তাঁর সঙ্গী ছিলেন ৩৮ বছর বয়সি এক চীনা মহিলা। গত ২১ জানুয়ারি তিনি চীনের উহান থেকে হংকং হয়ে ফিলিপিন্সে ফিরেছিলেন। চীনের অবস্থা অবশ্য বেশ খারাপ। কমিশন জানিয়েছে, বর্তমানে আশঙ্কাজনক অবস্থায় রয়েছেন ২ হাজার ১১০ জন রোগী। ১৯ হাজার ৫৪৪ জনের দেহে রোগ ছড়িয়েছে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। ৩২৮ জনকে চিকিৎসার পর হাসপাতাল থেকে ছাড়া হয়েছে। এছাড়া মোট ১ লক্ষ ৬৩ হাজার ৮৪৪ জন আক্রান্তদের সংস্পর্শে এসেছেন বলে চিহ্নিত করা গিয়েছে। যাদের মধ্যে ১ লক্ষ ৩৭ হাজার ৫৯৪ জন এখনও চিকিৎসকদের পর্যবেক্ষণে রয়েছেন। মহামারীর কেন্দ্রস্থলের বাইরে থাকা ওয়েনঝৌ শহরকে অচল করে দেওয়া হয়েছে। উহান থেকে এই শহরের দূরত্ব ৮০০ কিলোমিটারের বেশি। এখানেও ২৬৫ জন আক্রান্ত। ৯০ লক্ষ বাসিন্দার শহরের প্রতিটি বাড়ির একজন বাসিন্দাকে প্রতি দু’দিন অন্তর প্রয়োজনীয় পণ্য কিনতে বাইরে বেরনোর অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
করোনা নিয়ে সতর্কতা জারি হয়েছে বিশ্বজুড়ে। চীন ভ্রমণ ও চীন ঘুরে আসা পর্যটকদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা চালু করেছে একের পর এক দেশ। মার্কিন সেনার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এক হাজার ভাইরাস আক্রান্তকে আলাদা জায়গায় রাখার জন্য প্রস্তুত তারা। সেদেশে এখনও ৮ জন আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া গিয়েছে। সংযুক্ত আরব আমিরশাহিতে আরও একজন করোনা আক্রান্তের সন্ধান মিলেছে। সেখানে এই নিয়ে পাঁচজন এই রোগে আক্রান্ত হলেন। ভারত, আমেরিকা, শ্রীলঙ্কা, বাংলাদেশ সহ বহু দেশ উহান থেকে তাদের নাগরিকদের ফিরিয়ে এনেছে। উপযুক্ত চিকিৎসা পরিষেবা না থাকায় পাকিস্তানিদের দেশে ফিরতে দেওয়া হয়নি। শুধু চীন ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞাই নয়, ইজরায়েলে গত দু’সপ্তাহে চীন ঘুরে আসা যে কোনও ব্যক্তিকে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না। যে সমস্ত ইজরায়েলিরা চীন ঘুরে এসেছেন তাঁদের আগামী ১৪ দিন বাড়ি থেকে না বেরনোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।