ব্যবসা ভালো হবে। কেনাবেচা ক্রমশ বাড়বে। অর্থাগম ভাগ্য আজ অনুকূল। দেহে দুর্বলতা। ... বিশদ
বুধবারের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ, স্বরাষ্ট্রসচিব নন্দিনী চক্রবর্তী, রাজ্য পুলিসের ডিজি রাজীব কুমার, এডিজি (আইন শৃঙ্খলা) জাভেদ শামিম, কলকাতা পুলিসের কমিশনার মনোজ বর্মা। কিন্তু এই বৈঠকেও বের হল না সমাধান সূত্র। রাত সাড়ে বারোটা নাগাদ আন্দোলনকারী চিকিত্সকদের প্রতিনিধি দল নবান্ন সভাঘর থেকে বেরিয়ে আসেন। স্বাস্থ্যভবনে যাওয়ার আগে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন তাঁরা। আন্দোলনকারী চিকিত্সক অনিকেত মাহাত বলেন, ‘হাসপাতালে নিরাপত্তা, রোগী পরিষেবা, কলেজ কমিটি তৈরি করা, থ্রেট কালচার বন্ধ করা সহ একাধিক বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। কিন্তু সমস্যা তৈরি হয় আলোচনার শেষে যখন আমরা মিনিটস চাইলাম। মুখ্যসচিব বললেন, এটা দিতে পারবেন না। শুধুমাত্র নূন্যতম প্রতিশ্রুতি দিয়ে মিনিটস তৈরি করেছেন। আমরা এতে রাজি হইনি। বেরিয়ে এসেছি। উনি বলেছেন, এই সব কিছু ড্রাফ্ট করে মেইল পাঠাতে। যে মেইল দেখে উনি হয়তো কাল সকালে একটি নির্দেশিকা দেবেন। আমরা সেটার অপেক্ষায় আছি।’ এরপরই তাঁর সংযোজন, ‘আমাদের কর্মবিরতি ও অবস্থান চলবে। মুখ্যসচিবের নির্দেশিকা পেলে আমরা কর্মবিরতি ও অবস্থান কর্মসূচি নিয়ে পরবর্তী পদক্ষেপের কথা জানাব।’
অভয়ার বিচারের দাবিতে শুরু হয়েছিল আন্দোলন। সঙ্গে কর্মবিরতি। আজ যখন সেই বিচার দেওয়ার দায়িত্ব সিবিআইয়ের কাছে, ঠিক তখনই সামনে আসছে পরিকাঠামোগত উন্নয়নের দাবি। আন্দোলন পথভ্রষ্ট? আন্দোলনকারী চিকিত্সকদের কথায়, ‘আসলে এই প্রশ্নটাও বিচারের সঙ্গেই সম্পৃক্ত। পরিকাঠামো ভালো থাকলে থাকলে অভয়াকে সেমিনার রুমে থাকতে হতো না। টানা ৩৬ ঘণ্টা কাজও করতে হতো না।’ বন্যায় জেলায় জেলায় শিবির করে চিকিৎসকরা দুর্গতদের পাশে দাঁড়িয়ে থাকেন। সেই ছবিও আজ বিরল। এরই মাঝে অনেকেই কিন্তু কাজে ফেরার পক্ষে সুর চড়াচ্ছেন। আন্দোলন মঞ্চ থেকে জুনিয়র ডাক্তারদের ভিড় পাতলা হচ্ছে। সাধারণ মানুষের অংশগ্রহণও কমছে। এই পরিস্থিতিতে মুখ্যসচিবের চিঠির বয়ান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে তিনি ‘চিকিৎসকের ধর্ম’ মনে করিয়ে দেওয়ায় নড়েচড়ে বসেছে সব মহলই। তারপরও অবশ্য রাজ্য প্রশাসন তাঁদের সঙ্গে বৈঠক করেছে। ৩০ জন প্রতিনিধি তো বটেই,
জুনিয়র ডাক্তারদের সঙ্গে যাওয়া স্টেনোগ্রাফারকেও নবান্ন সভাঘরে যাওয়ার অনুমতি দিয়েছে।