ব্যবসা ভালো হবে। কেনাবেচা ক্রমশ বাড়বে। অর্থাগম ভাগ্য আজ অনুকূল। দেহে দুর্বলতা। ... বিশদ
মোদি মন্ত্রিসভায় অনুমোদিত প্রস্তাব অনুযায়ী, দু’টি দফায় হবে ভোট প্রক্রিয়া। প্রথম দফায় লোকসভা এবং বিধানসভা নির্বাচন। তারপর ১০০ দিনের মধ্যেই সম্পন্ন করা হবে পুরসভা ও পঞ্চায়েত ভোট। অর্থাৎ পাঁচ বছরের মধ্যে নির্বাচন প্রক্রিয়ায় বরাদ্দ থাকবে একটি বছর। কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব জানিয়েছেন, সব পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে বিল প্রস্তুত করা হবে। তারপরই জানা যাবে যে, এই প্রক্রিয়া কীভাবে কার্যকর করা সম্ভব। এজন্য একটি ‘ইমপ্লিমেন্টেশন গ্রুপ’ গঠন করা হবে। কোবিন্দ কমিটির কাছে ৪৭টি রাজনৈতিক দল এব্যাপারে তাদের মতামত জানিয়েছে। এক দেশ এক ভোট সমর্থন করেছে ৩২টি দল। ১৫ দল বিরোধিতায় সরব।
ওয়ান নেশন ওয়ান ইলেকশন নিয়ে আগামী দিনে সরকার বনাম ‘ইন্ডিয়া’র বিরোধ যে তীব্র হতে চলেছে তা স্পষ্ট। এদিনই বিরোধী মহাজোটের পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে যে, এই সিদ্ধান্ত মেনে নেওয়া হবে না। অর্থাৎ সংসদে ভোটাভুটির সময় সম্মিলিতভাবে এই বিলের বিরুদ্ধে ভোট দেবে ‘ইন্ডিয়া’। কংগ্রেসের মল্লিকার্জুন খাড়্গে, তৃণমূলের ডেরেক ও’ব্রায়েন, আরজেডির মনোজ ঝা, সমাজবাদী পার্টির অখিলেশ যাদবরা স্পষ্ট বলেছেন, নরেন্দ্র মোদির এই নতুন জুমলা আসলে মানুষের দৃষ্টি ঘুরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা। নিজেদের ব্যর্থতা ঢাকতে নতুন ইস্যুতে মাতিয়ে রাখতে চাইছেন প্রধানমন্ত্রী।
১৯৫২-১৯৬৭ সাল পর্যন্ত ভারতে এক দেশ এক ভোট চালু ছিল। কিন্তু একসঙ্গে বেশ কিছু রাজ্যে কংগ্রেস সরকারের পতন ঘটায় এই প্রথা ভেঙে যায়। বিগত ৫০ বছরে বহুবার এই ইস্যু উত্থাপিত হয়েছে। আইন কমিশন ১৯৯৯ সালে এব্যাপারে রিপোর্টও দিয়েছিল। কিন্তু বদলে যাওয়া রাজনৈতিক সমীকরণ এবং আঞ্চলিক দলের ক্ষমতায়নের আবহে তা গ্রহণযোগ্য হয়নি। বিরোধীদের অভিযোগ, এই উদ্যোগ রাজ্যগুলির ক্ষমতাকে কেন্দ্রীভূত করার একটি কৌশল।
ওয়ান নেশন ওয়ান ইলেকশন চালু করতে হলে সংবিধানের অন্তত পাঁচটি ধারা সংশোধন করতে হবে। সেজন্য শুধু একক গরিষ্ঠতা নয়, দুই তৃতীয়াংশ সমর্থন পেতে হবে সংসদে। অর্থাৎ লোকসভায় ৫৪৩ সংসদ সদস্যই বিল পাশের সময় হাজির থাকলে বিল পাশ করাতে সরকারকে পেতে হবে ৩৬২ ভোট। আবার রাজ্যসভায় এনডিএর এমপি ১১৫ জন। দুই তৃতীয়াংশ ভোট পেতে হলে দরকার ১৬৪ জনের সমর্থন। তবে কিছু দল অনুপস্থিতি কিংবা ভোটদানে বিরত থাকলে এই সমীকরণ বদলে যাবে। এনডিএ জোটের কাছে রয়েছে ২৯৩ আসন। ৫৪৩ আসনের লোকসভায় তাহলে দুই তৃতীয়াংশ জয় কীভাবে সম্ভব? একমাত্র যদি শতাধিক এমপি ভোটদানে বিরত থাকেন। নতুন অপারেশন লোটাস ওটাই?