পেশা ও ব্যবসায় অর্থাগমের যোগটি অনুকূল। বিপরীত লিঙ্গের প্রতি আকর্ষণ বৃদ্ধি পেতে পারে। ... বিশদ
চামোলি জেলার বাসিন্দা অঙ্কিত নেগির দাবি, এখানকার পাহাড়ি বা গ্রামীণ এলাকার প্রতিটি তরুণের প্রথম পছন্দ ছিল সেনায় চাকরি। পার্বত্য এলাকার যুবকরা মূলত তাদের শারীরিক শক্তির জন্য পরিচিত। তাই তারা এধরনের চাকরিকেই বেশি পছন্দ করে। কিন্তু বিজেপি বিষয়টিকে হাল্কাভাবে নেওয়ায় তরুণ প্রজন্মের অধিকাংশই ক্ষুব্ধ। পাউরি জেলার বাসিন্দা অভিনব পাটওয়ালের কথা, দু’বছর আগে অগ্নিপথ প্রকল্প চালুর পর থেকে বিজেপির উপর রীতিমতো ক্ষুব্ধ এরাজ্যের তরুণরা। সে ক্ষোভের কথাও গোপন রাখছেন না তারা। উল্লেখ্য, শুধু উত্তরাখণ্ড নয়, অগ্নিপথ প্রকল্প ঘোষণার পর থেকেই আন্দোলনে নামেন সেনাবাহিনীতে চাকরি করতে উৎসাহী তরুণরা। সেঘটনার সাক্ষী থেকেছে দেশের নানা প্রান্ত। অভিনব আরও জানান, প্রকল্পটি সম্পর্কে বিভিন্নভাবে আমরা কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে নিজেদের মতামত প্রকাশের চেষ্টা করেছি। কিন্তু তাতে কেউ কর্ণপাত করেনি। অভিনব পাঠওয়ালের সাফ কথা, প্রকল্পটি বাতিল না হলে বিজেপিকে একটিও ভোট নয়। দ্বিতীয়ত, অঙ্কিতা ভাণ্ডারি হত্যাকাণ্ডে প্রাক্তন বিজেপি নেতার ছেলে অভিযুক্ত হওয়ার পর থেকেই ঘটনা অন্যদিকে মোড় নিয়েছে। অভিযুক্তের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি না হওয়ায় ক্ষোভে ফুঁসছেন উত্তরাখণ্ডের মানুষ। ২০২২ সালে ঋষিকেশের কাছে একটি রিসর্টের রিসেপশনিষ্ট বছর আঠারোর অঙ্কিতা ভাণ্ডারিকে যৌন হেনস্তার পর খুন করা হয় বলে অভিযোগ। ঘটনায় নাম জড়ায় রিসর্ট মালিক ও তার দুই সহযোগীর। এরপর থেকেই উত্তর-পূর্বের এই রাজ্যে নারী সুরক্ষার প্রশ্নে ব্যাকফুটে চলে যায় গেরুয়া শিবির। এপ্রসঙ্গে একরাশ ক্ষোভ ঝরে পড়ে রুদ্রপ্রয়াগের বাসিন্দা শিখা গুসেইনের গলায়। তিনি বলেন, অঙ্কিতাও আমার মেয়ের মতো। এই ন্যক্কারজনক ঘটনার বিচার হয়নি এখনও। নির্বাচনী ইস্তাহারে প্রতিটি রাজনৈতিক দলই নারী সুরক্ষার প্রশ্নে নানারকমের প্রতিশ্রুতি দেয়। কিন্তু কাজের বেলায় তার ছিটেফোঁটাও দেখা যায় না। এধরনের ঘটনা যদি আমাদের মা-বোনেদের সঙ্গে ঘটে চলে, তাহলে কীভাবে মেয়েরা নিরাপদে থাকবে, প্রশ্ন তোলেন শিখা। এই দুটি ইস্যু যে মানুষের মনে গভীরভাবে দাগ কেটেছে, তা মেনে নিতে বাধ্য হয়েছে কংগ্রেস এবং বিজেপি শিবিরও। স্থানীয় কংগ্রেস নেতা ঈশ্বরী প্রসাদ মাইখোরি জানান, প্রচারে এই দুটি ইস্যুতেই জোর দিচ্ছে দল। তাঁর কথায়, বিজেপি জাতীয় ইস্যুতে কথা বললেও এবিষয়ে রা কাটছে না। এমনকী, অঙ্কিতা ভাণ্ডারি কাণ্ডে সিবিআই তদন্তের দাবিও জানিয়েছে হাত শিবির।
এই দু’টি ঘটনার প্রভাব স্বীকার করে নিয়েও বিজেপি নেতা হরিশ সাতির দাবি, তাদের আমলে উত্তরাখণ্ডে যে উন্নয়ন হয়েছে, তা আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে প্রভাব ফেলবে।