পেশা ও ব্যবসায় অর্থাগমের যোগটি অনুকূল। বিপরীত লিঙ্গের প্রতি আকর্ষণ বৃদ্ধি পেতে পারে। ... বিশদ
আগের লোকসভা ভোটে হারলেও ত্রিশূরে বামেদের সংগঠন যথেষ্ট মজবুত। গত বিধানসভা নির্বাচনে এই কেন্দ্রের আসনগুলিতে তারাই দাপট দেখিয়েছে। এখানকার বামদূর্গ ফিরে পেতে সর্বশক্তি দিয়ে নেমেছেন সিপিআই প্রার্থী ভিএস সুনীল কুমার। তবে ভোটের আগে কারুভান্নুর সমবায় ব্যাঙ্ক দুর্নীতি বামেদের মুখ পুড়িয়েছে। ২০১৯ সালের ভোটে ত্রিশূরে কংগ্রেসের টিএন প্রতাপন ১ লক্ষ ৪২ হাজারেরও বেশি ভোটে হারিয়েছিলেন সিপিআই প্রার্থীকে। তিনি পেয়েছিলেন ৪ লক্ষ ১৫ হাজার ৮৯ ভোট (৩৯.৮৩ শতাংশ)। সিপিআইয়ের প্রাপ্ত ভোট ছিল ৩ লক্ষ ২১ হাজার ৪৫৬। আর বিজেপির সুরেশ গোপী ২ লক্ষ ৯৩ হাজার ৮২২ ভোট পেয়ে তৃতীয় স্থানে ছিলেন। তাঁর প্রাপ্ত ভোটের হার ২৮.১৯ শতাংশ। হেরে গেলেও অবশ্য ময়দান ছাড়েননি গোপী। তাছাড়া, করুণাকরনের কন্যা পদ্মজারও ত্রিশূরের কিছু এলাকায় প্রভাব রয়েছে।
এই পরিস্থিতিতে মুরলীধরনকে ত্রিশূরে এনে হাত শিবির পাল্টা চাল দিয়েছে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। ১৯৯৮ সালেও এই আসনে দাঁড়িয়েছিলেন মুরলীধরন। কিন্তু প্রয়াত নেতা করুণাকরনের শক্তি ঘাঁটি বলে পরিচিত এই ভূমিতে সাফল্য পাননি ছেলে। যদিও সময়ের সঙ্গে পরিণত হয়েছেন মুরলীধরন। এখন নিজের লড়াকু ভাবমূর্তি গড়ে তুলতে পেরেছেন তিনি। ত্রিশূরে দলের জনভিত্তি অক্ষুন্ন রেখে বাড়তি ভোট আদায়ে তাঁর উপর ভরসা রাখছে হাতশিবির। অন্যদিকে, মণিপুরের হিংসার জেরে ত্রিশূরের খ্রিস্টানদের মধ্যে অসন্তোষও বিজেপিকে ভোগাতে পারে বলে মত রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের।