পেশা ও ব্যবসায় অর্থাগমের যোগটি অনুকূল। বিপরীত লিঙ্গের প্রতি আকর্ষণ বৃদ্ধি পেতে পারে। ... বিশদ
ভোটমুখী সাহারানপুর লোকসভা কেন্দ্রের গ্রামাঞ্চল ঘুরে বেরিয়ে একটি বিষয় দিনের আলোর মতো স্পষ্ট। এখানে অন্যতম ইস্যুই হল ‘বে-রোজগারি’। বেকারত্বের জ্বালায় ধুঁকছে অধিকাংশ গ্রাম। তরুণ-যুবকদের হাতে কাজ নেই। বেশিরভাগই কাজের জন্য বাইরে চলে যাচ্ছেন। তাঁদের মধ্যে অধিকাংশই পরিযায়ী শ্রমিক। যাঁরা কোথাও যাচ্ছেন না, আবার এলাকাতে কাজও পাচ্ছেন না, তাঁদের একটি বড় অংশ খেতমজুরি করছেন। অর্থাৎ, সবমিলিয়ে ভয়াবহ পরিস্থিতি। দাদুলি বুখারার ৩৬ বছর বয়সী যুবক ভিকি কুমার শুরুতে চাকরির চেষ্টা করেছিলেন। মেলেনি। শেষে হাল ছেড়ে দিয়ে কয়েকবছর ভিন রাজ্যেও যান। এখন বছরখানেক হল ফিরে এসে নিজের এলাকাতেই মোটর সাইকেল সারাইয়ের দোকান দিয়েছেন। বললেন, ‘নিজের স্বপ্নকে তিলে তিলে শেষ হয়ে যেতে দেখছি। আর কোনও চাহিদাও নেই।’ হতাশা টাপরির রাকেশ কুমারের গলাতেও। আপাতত ঠিকাশ্রমিকের কাজ করেন তিনি। বললেন, ‘টাকা-পয়সা জমিয়ে অন্তত নিজের একটা জমিও যদি কিনতে পারতাম, তাহলেও পরিস্থিতি পাল্টে যেত। কিন্তু মূল্যবৃদ্ধির বাজারে তাও হবে না।’
হাসানপুরের যুবক আবদুল রহমান অবশ্য কিছুটা ভাগ্যবান। স্থানীয় একটি টেলিকম সংস্থার অফিসে চাকরি পেয়েছেন সদ্য। তাই নিজের বাইকে ঘুরে বেড়ান এলাকায়। ধুঁকতে থাকা সাহারানপুরের গ্রামাঞ্চলে ‘ভালো থাকা’র অন্যতম মাপকাঠি হিসেবেই তা পরিগণিত হয়। নিজের একটি বাইক! আবদুল জানালেন, ‘অন্তত ৮০ শতাংশ যুবককে শ্রমিক-কর্মচারীর কাজ নিয়ে বাইরে চলে যেতে হয়েছে। ১০ শতাংশ যাঁরা চাকরি পেয়েছেন, আমি হয়তো একজন।’ সার্বিকভাবে উত্তরপ্রদেশ বিজেপি শাসিত হলেও যোগী-রাজ্যের এই সাহারানপুর লোকসভা বসপার দখলে। ২০১৪-এর নির্বাচনে বিজেপি জিতলেও গতবার তা ছিনিয়ে নিয়েছে বসপা। যদিও ‘সিটিং এমপি’কে এবার টিকিট দেয়নি ‘বহেনজি’র দল। লোকসভা কেন্দ্র বসপার, রাজ্য বিজেপির হওয়ায় ‘বেকারত্ব’ ইস্যুতে দু’পক্ষই একে অন্যের কোর্টে বল ছুঁড়তেই থাকে। ভিকি কুমারদের পরিস্থিতি পাল্টায় না।