বিদ্যায় অধিক পরিশ্রম করতে হবে। ব্যবসায় যুক্ত ব্যক্তির পক্ষে দিনটি শুভ। প্রেম-প্রীতিতে আগ্রহ বাড়বে। নতুন ... বিশদ
পরিবহণ দপ্তর সূত্রের খবর, যাত্রীদের স্বার্থকে সুরক্ষিত রাখতেই অবৈধ অটোকে আইনে বাঁধার কাজ করছে বর্তমান রাজ্য সরকার। এই প্রক্রিয়ার অঙ্গ হিসেবেই এর আগে বেঁধে দেওয়া হয়েছিল সম্প্রসারিত কলকাতা আরটিএ এলাকায় মোট অটো রুট এবং সেসব রুটে সর্বোচ্চ কতগুলি করে অটো চলতে পারে, তার সংখ্যা। বৈধ কাগজপত্র ছাড়া যেসব অটো চলছে, সেগুলিকে আইনের আওতায় আসার এককালীন সুযোগ দেওয়া হচ্ছে। বৈধকরণের পাশাপাশি অটোর রং সংক্রান্ত ব্যাপারেও নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছিল। গোটা প্রক্রিয়াটিই আগামী ৩১ মার্চের মধ্যে শেষ করতে হবে বলে নয়া নির্দেশিকায় বলা হয়েছে। আগে এই সময়সীমা ছিল ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত।
পরিবহণ দপ্তরের এক কর্তা বলেন, রাজ্যে অবৈধ অটোর রমরমা নতুন কিছু নয়। বছরের পর বছর ধরে অবৈধ অটো চলছে। তাতে রাজ্য যেমন তার রাজস্ব হারাচ্ছে, তেমনই সেসব অটোতে দুর্ঘটনা ঘটলে যাত্রীরা আইনি সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। যাত্রীদের সুরক্ষা ও নিরাপত্তাকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিতেই অবৈধ আটোকে আইনে বাঁধার কাজ শুরু করছে রাজ্য। একতরফাভাবে এ কাজ করা হবে না। তাই অটো মালিকদের এককালীন সুযোগ দেওয়া হচ্ছে।
দপ্তরের ওই কর্তা বলেন, কলকাতা, হাওড়া, বিধাননগর এবং বারাকপুর পুলিস কমিশনারেটের এলাকায় চলাচলকারী অটোগুলির থেকে রাজ্যের বাকি জায়গার অটোগুলিকে যাতে আলাদা করে চেনা যায়, তার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। বলা হয়েছিল, রাজ্যজুড়ে প্রতিটি অটোর গায়ে নির্দিষ্ট মাপের গোলকের মধ্যে আরটিএ’র নাম, পারমিট নম্বর এবং রুট নম্বর লিখে রাখতে হবে রং দিয়ে।
কতটা এগিয়েছে অটোর বৈধকরণের প্রক্রিয়া? কলকাতা পিভিডি’র এক কর্তা বলেন, কাগজপত্র তৈরি, সংশোধনের কাজ বর্তমানে সর্বত্রই জোর কদমে চলছে। কলকাতা পিভিডি’র এলাকায় ইতিমধ্যেই ৩২২টি অটো বৈধকরণের কাজ শেষ হয়েছে। গোলাকার প্রতীক আঁকা এবং রঙের ব্যাপারেও মালিকদের তৎপরতা বাড়াতে হবে।
বর্তমানে অধিকাংশ অটো রুটেই শাসকদলের শ্রমিক সংগঠনের রমরমা। কী বলছেন অটো ইউনিয়নের নেতারা? আইএনটিটিইউসি অনুমোদিত দক্ষিণ কলকাতা অটো ড্রাইভার্স অ্যান্ড অপারেটর্স ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক গোপাল সুতার বলেন, অটো বৈধকরণের প্রক্রিয়া চলছে। তার সঙ্গে গোলাকার প্রতীক ও রঙের ব্যাপারে সদস্যদের আগেও বলা হয়েছে। ফের বলা হবে। আশা করছি, এক মাসের মধ্যে গোটা প্রক্রিয়া শেষ হয়ে যাবে।