বিদ্যায় অধিক পরিশ্রম করতে হবে। ব্যবসায় যুক্ত ব্যক্তির পক্ষে দিনটি শুভ। প্রেম-প্রীতিতে আগ্রহ বাড়বে। নতুন ... বিশদ
প্রতিটি ক্লাসে পড়ুয়া কী শিখবে, তা তাদের দেওয়া ডায়েরিতে উল্লেখ করে দেওয়া হয়েছে। এর ফলে শিক্ষকরা সেই সব পড়াচ্ছেন কি না, তার উপর নজর রাখতে পারবেন অভিভাবকরা। সেরকমই সপ্তম শ্রেণীর বিদ্যালয়ের দিনলিপিতে কোন কোন বিষয় পড়বে পড়ুয়া, তা উল্লেখ করে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু তৃতীয় ভাষার কোনও উল্লেখ নেই। রাজ্যের বেশিরভাগ স্কুলেই তৃতীয় ভাষা হিসেবে সংস্কৃত পড়ে ছাত্রছাত্রীরা। তার বাইরে হিন্দি, উর্দু, নেপালি রয়েছে। তবে এই ভাষা পড়ে, এমন পড়ুয়ার সংখ্যা কমই। তবে প্রশ্ন হল, বাধ্যতামূলক বিষয় হলেও, কেন তার উল্লেখ ডায়েরিতে থাকবে না?
এই তৃতীয় বিষয় পড়ানো নিয়েও একাধিক অভিযোগ রয়েছে। শিক্ষকরা বলেন, এই বিষয়ের কোনও বই সরকারের তরফে দেওয়া হয় না। যদিও তা বিনামূল্যে দেওয়ার কথা। তৃতীয় ভাষার কোনও নির্দিষ্ট সিলেবাস নেই। স্কুলগুলি তাদের মতো করে সিলেবাস তৈরি করে তা পড়ায়। সমস্যা এখানেই শেষ নয়। পর্ষদ অনুমোদিত বইও নেই। বেসরকারি প্রকাশনার কিছু বই আগেই বাছাই করা হয়েছিল। সেগুলিই পড়ানো হচ্ছে। শিক্ষার অধিকার আইন অনুযায়ী, এই সরকার প্রায় সব বই বিনামূল্যে দিয়েছে। কিন্তু বাদ পড়েছে স্রেফ তৃতীয় ভাষার বই। কেন তা দেওয়া হল না আজও, তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে বিভিন্ন মহলে। সরকার বই না দেওয়ায় বাইরে থেকেই তা কিনতে হয় পড়ুয়াদের। অভিযোগ, কোথাও কোথাও চড়া দামেই কিনতে হয় বইটি।
এসব দিকে কেন সরকার এখনও নজর দেয়নি, তাতে বিস্মিত শিক্ষকমহল। এ নিয়ে পশ্চিমবঙ্গ শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক নবকুমার কর্মকারের বক্তব্য, তৃতীয় ভাষার প্রতি এমন অবহেলা কাম্য নয়। সরকারের উচিত, এটার প্রতি যথাযথ গুরুত্ব দিয়ে বই, সিলেবাস তৈরি করার ব্যবস্থা করা। পশ্চিমবঙ্গ প্রধান শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক শ্রীদাম জানার মতে, তৃতীয় ভাষাটি নবম এবং দশম শ্রেণী পর্যন্ত থাকা দরকার। আর তার ৫০ নম্বরের পরীক্ষা নেওয়া উচিত। কিন্তু একই সঙ্গে বাকি বইগুলি যেমন সরকার তৈরি করে তা বিনামূল্যে দিয়েছে, তেমনই তৃতীয় ভাষার বিভিন্ন বইও তৈরি করার দায়িত্ব নিতে হবে সরকারকেই।