বিদ্যায় অধিক পরিশ্রম করতে হবে। ব্যবসায় যুক্ত ব্যক্তির পক্ষে দিনটি শুভ। প্রেম-প্রীতিতে আগ্রহ বাড়বে। নতুন ... বিশদ
হলদিয়া থেকে ফরাক্কা পর্যন্ত দীর্ঘ ৫৬০ কিমি জলপথের কোথাও কোনও নজরদারির ব্যবস্থা নেই। এর মধ্য দিয়ে গিয়েছে ভাগরথী, হুগলি ও গঙ্গা নদী। পাহারা না থাকায় তার সুযোগ নিচ্ছে চোরকারাবারিরা। অনায়াসেই জলপথকে ব্যবহার করে বিভিন্ন ধরনের পণ্য, নিষিদ্ধ মাদক থেকে শুরু করে অত্যাধুনিক আগ্নেয়াস্ত্র এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে নিয়ে যাচ্ছে। এমনকী সীমান্তের ওপারেও তা চলে যাচ্ছে। রাতের অন্ধকারেই এই কাজ চলছে। এমনকী চোরাচালানের সঙ্গে জড়িত গোষ্ঠীদের মধ্যে মাঝেমধ্যে সংঘর্ষও হচ্ছে জলপথে। কোস্টগার্ডের তরফে মাঝেমধ্যে অভিযান চালানো হলেও, এত বড় নদীপথের সর্বত্র তাদের পক্ষে নজরদারি সম্ভব হয় না। সম্প্রতি কেন্দ্রীয় সরকারের উদ্যেগে জলমার্গ বিকাশ যোজনা প্রজেক্ট চালু হয়েছে। যার ফলে ভিন রাজ্য এবং বিদেশ থেকে পণ্যবাহী জাহাজ আসছে। জলপথে দুষ্কৃতীরা যাতে এই সমস্ত পণ্যবাহী জাহাজ দখলের জন্য হামলা চালাতে না পারে, সেজন্য আইনশৃঙ্খলার বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। পাশাপাশি কোনও যাত্রীবাহী লঞ্চ বা জাহাজ নদীতে ডুবে গেলে এবং জেটি ভেঙে গেলে সেই খবর আসতেও অনেকটা সময় লেগে যাচ্ছে। ফলে ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধারকার্য শুরু করতে অনেকটা সময় লেগে যাচ্ছে।
রাজ্য পুলিসের কর্তারা বিশ্লেষণ করতে গিয়ে দেখেন, পূর্ব মেদিনীপুর, মুর্শিদাবাদ, নদীয়া, হুগলি ও হাওড়া সহ বিভিন্ন জেলা দিয়ে নদীগুলি বয়ে গিয়েছে। এরপরই ওইসব জেলার পুলিস সুপার ও কমিশনারেটের কর্তাদের সঙ্গে বৈঠক হয়। তাঁদের জেলার মধ্য দিয়ে কোন কোন নদী বয়ে গিয়েছে এবং তা কতটা দীর্ঘ, তা প্রথমে চিহ্নিত করা হয়। যাতে থানা তৈরির সময় কোনও সমস্যা না দেখা দেয়। এক জেলা অন্য জেলার বিরুদ্ধে অভিযোগ না আনতে পারে। প্রতিটি জেলার কাছে প্রস্তাব চাওয়া হয়, কোন কোন এলাকায় নির্দিষ্টভাবে জলপথে থানা তৈরির প্রয়োজন। ইতিমধ্যেই প্রস্তাব জমা পড়ে গিয়েছে। তাতে জায়গা থেকে শুরু করে কী পরিমাণ অর্থ খরচ হবে, তার পুরোটাই উল্লেখ রয়েছে। ইতিমধ্যেই পূর্ব মেদিনীপুর ও নদীয়া জানিয়ে দিয়েছে, তারা এরজন্য অর্থ বরাদ্দও করে ফেলেছে।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, নদী সংলগ্ন এলাকাতেই এই থানাগুলি তৈরি করা হবে। আলাদা করে পুলিসকর্মী থাকবেন এই থানাগুলিতে। জলপথে চুরি, ডাকাতি, চোরাচালান আটকানো থেকে শুরু করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষার কাজ করবেন তাঁরা। পাশাপাশি নদীপথে সর্বক্ষণ নজরদারি চালাবেন তাঁরা। এতে অপরাধ পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আনা যাবে বলে আশা পুলিস কর্তাদের।