শাস্ত্র অধ্যয়নে গতি বৃদ্ধি ও পরীক্ষায় শুভ ফল লাভের সম্ভাবনা। নতুন কর্মপ্রাপ্তি হতে পারে। দাম্পত্যে ... বিশদ
২৫ ফেব্রুয়ারি জেলা পরিষদের সাধারণ সভা। সেখানে পাশ হবে বাজেট। হুগলি জেলা পরিষদ এবং সাধারণ সভায় তৃণমূল কংগ্রেসের নিরঙ্কুশ আধিপত্য। ফলে বাজেট পাশ করাতে সমস্যা হবে না বলে জানান জেলা পরিষদ কর্তারা। তবে তার আগে এদিন বাজেট নিয়ে বক্তব্য রাখতে গিয়ে শিক্ষা কর্মাধ্যক্ষ শিক্ষাখাতে ব্যয়বরাদ্দ বাড়ানোর দাবি রাখেন। হুগলি জেলা পরিষদের সভাধিপতি রঞ্জন ধাড়া বলেন, ‘নাগরিক চাহিদার কথা মাথায় রেখেই বাজেট তৈরি হয়েছে। সময়ের দাবির দিকে লক্ষ্য রেখে পানীয় জল, রাস্তা ঘাট, স্বাস্থ্যের মতো বিষয়গুলিতে বাড়তি গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে। সাধারণ সভায় কোনও সংশোধনী থাকলে তা গ্রহণ করা হবে। ২৫ ফেব্রুয়ারি বাজেট পাশ হয়ে যাবে।’ হুগলি জেলা পরিষদের শিক্ষা কর্মাধ্যক্ষ ও তৃণমূলের জেলা নেতা সুবীর মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘শিক্ষা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। জেলায় ইংরেজি মাধ্যম স্কুল গড়ে তোলা, স্কুলের পরিকাঠামো উন্নত করার উপর আমরা জোর দিতে চেয়ে প্রস্তাব দিয়েছিলাম। কিন্তু বাজেটে শিক্ষা ক্ষেত্রে মাত্র দু’কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে। এদিনই আমি অন্তত ১২ কোটি টাকা চেয়ে বাজেট বক্তব্য রেখেছি। আশা করছি জেলার ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কথা ভেবে তা মঞ্জুর করা হবে।’ হুগলি জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের চেয়ারম্যান ও বিধায়ক অসীমা পাত্র বলেন, ‘খসড়া বাজেট পেশ করা হয় সংশোধনী নেওয়ার জন্য। সমস্ত বিভাগেরই চাহিদা থাকবে। কারণ আমাদের জনপ্রতিনিধিরা কাজ করতে চান। তবে সার্বিক সমন্বয়ের মাধ্যমেই অগ্রসর হতে হবে। ২৫ ফেব্রুয়ারি সুষ্ঠুভাবেই বাজেট পাশ হবে।’
হুগলি জেলা পরিষদ সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার ২০২৫-’২৬ অর্থবর্ষের জন্য ১৭৮ কোটি ১৯ লক্ষ ৭২ হাজার ৫০০ টাকার বাজেট পেশ করা হয়। সবথেকে বেশি বরাদ্দ রাখা হয়েছে পূর্ত বিভাগের জন্য। সেখানে প্রায় ৯৮ কোটি টাকা বরাদ্দ হয়েছে। জনস্বাস্থ্য বিভাগের জন্য দ্বিতীয় সর্বোচ্চ প্রায় ৫৪ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে। কৃষি ও সেচ বিভাগকে চার কোটি, শিক্ষায় দু’কোটি, নারী ও শিশুকল্যাণে এক কোটি দেওয়া হয়েছে। বাকি সমস্ত বিভাগের বরাদ্দ এক কোটি টাকার কম। প্রসঙ্গত ২০২৪-’২৫ অর্থবর্ষে প্রায় ১৫৫ কোটি টাকার বাজেট পেশ হয়েছিল। -নিজস্ব চিত্র