শাস্ত্র অধ্যয়নে গতি বৃদ্ধি ও পরীক্ষায় শুভ ফল লাভের সম্ভাবনা। নতুন কর্মপ্রাপ্তি হতে পারে। দাম্পত্যে ... বিশদ
গুলিকাণ্ডের তদন্তে নেমে এসটিএফের অফিসাররা জেনেছেন, লাইসেন্সধারীরা যে বন্দুক দোকানের আর্মারি ভাড়া নিয়ে আগ্নেয়াস্ত্র রাখত, সেগুলির নথি দেখিয়ে কার্তুজ তুলত দুই অভিযুক্ত। পাশাপাশি অন্যদের লাইসেন্স জোগাড় করেও, সেগুলির বিনিময়ে বিভিন্ন বোরের গুলি তুলে দুষ্কৃতীদের সরবরাহ করত। পুলিস সূত্রে খবর, লাইসেন্সধারী ব্যক্তি নতুন গুলি কিনতে গেলে, তাঁর কাছে থাকা গুলি যে খরচ হয়েছে তার হিসেব দেখাতে হয়। এক্ষেত্রে সংশ্লিষ্টকে কার্তুজের খোল জমা দিতে হয় প্রমাণ স্বরূপ। কী প্রয়োজনে ব্যবহার হয়েছে, তার যাবতীয় নথি দেওয়ার কথা। যেহেতু আসল লাইসেন্সধারীদের অজান্তে গুলি ইস্যু হতো, তাই দুই কর্মীর দায়িত্ব ছিল হিসেব মেলানোর। সেই কারণে কার্তুজের খোল বাইরে থেকে সংগ্রহ করত তারা। বোর ধরে তারা রেজিস্টার খাতায় সেগুলি লিখত। খাতায়কলমে কোনও গোলমাল থাকত না। যাতে কার্তুজের হিসেব মেলাতে কোনও সমস্যা না হয়। পাশাপাশি অর্ডিন্যান্স ফ্যাক্টরি থেকে গুলি তোলার সময় এই রেজিস্টারের ফটোকপি জমা পড়ত। যাতে সেখান থেকে সরকারি কার্তুজ পেতে সমস্যা না হয়।
তদন্তে নেমে অফিসাররা জানতে পারছেন, ওই দুই কর্মী খোঁজখবর রাখত, কোথায় কার্তুজের খালি খোল মেলে। এক্ষেত্রে দুটি জায়গা তাদের টার্গেটে ছিল। একটি হল বিভিন্ন শ্যুটিং প্রতিযোগিতা। তাদের দোকানে রাইফেল প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়া প্রতিযোগীরা আসতেন। তাঁদের থেকে খোঁজ নিয়ে জানতেন, কোথায় প্রতিযোগিতা চলছে। সেই সঙ্গে খালি কার্তুজ কীভাবে পাওয়া যায়। সেখান থেকে দুই অভিযুক্ত জেনেছিল প্রতিযোগিতা শেষে অনেকেই খোল সংগ্রহ করেন না। সেগুলিই ঘুরপথে তারা সংগ্রহ করত। পাশাপাশি অভিযুক্তদের সঙ্গে পুলিসের নিচুতলার বেশ কিছু কর্মীর পরিচয় ছিল। সেখান থেকে জেনেছিল, পুলিস ট্রেনিং স্কুলে ফায়ারিং অনুশীলনে সমস্ত ধরনের আর্মস থেকে গুলি ছোঁড়া হয়। প্রশিক্ষণ শেষে কার্তুজের খোল মিলিয়ে দেখার পর, তা পরে টেন্ডার ডেকে বিক্রি করা হয়ে থাকে। এই সম্পর্কে খোঁজখবর চালানোয় তদন্তকারীদের অনুমান, টেন্ডার প্রাপক সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল। সেখান.থেকে খোল পেয়েছিল কি না, সেটাই জানার চেষ্টা করছেন অফিসাররা। তদন্তে এমনকিছু ইঙ্গিত মিলেছে, যা এই সম্ভাবনাকে আরও জোরালো করছে। একইসঙ্গে তদন্তে জানা গিয়েছে, যে দোনালা বন্দুকগুলি ডালহৌসির এই দোকান থেকে দুষ্কৃতীদের হাতে যেত, সেগুলি দুই ২৪ পরগনার বিভিন্ন ভেড়িতে পাহারার দায়িত্বে থাকা নিরাপত্তারক্ষীরা ব্যবহার করতেন। এই ভেড়িগুলি চিহ্নিত করে আগ্নেয়াস্ত্র বাজেয়াপ্ত করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।