শাস্ত্র অধ্যয়নে গতি বৃদ্ধি ও পরীক্ষায় শুভ ফল লাভের সম্ভাবনা। নতুন কর্মপ্রাপ্তি হতে পারে। দাম্পত্যে ... বিশদ
দমদম পুরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের নলতা স্কুল রোডের বাসিন্দা শঙ্করকুমার মজুমদার পক্ষাঘাতে আক্রান্ত হয়ে প্রায় পাঁচ বছর ধরে শয্যাশায়ী। তাঁর স্ত্রী পুতুল মজুমদার স্বামীকে নিয়ে সেখানে থাকেন। তাঁদের ছেলে কর্মসূত্রে থাকেন পুনেতে। রবিবার রাতে দুষ্কৃতীরা সেই বাড়িতে ঢুকে বৃদ্ধার গলায় ছুরি ধরে আলমারির চাবি ছিনিয়ে সোনার গয়না ও নগদ টাকা লুট করে। যাওয়ার সময় পুতুলদেবীর গায়ের গয়নাও তারা খুলে নিয়ে যায়। বৃদ্ধা কথা বলার চেষ্টা করলে ছুরির বাঁট দিয়ে মাথায় মারা হয়। আতঙ্কের জেরে মঙ্গলবার সারাদিন নিজেদের ঘরবন্দি রেখেছিলেন দম্পতি।
এখনও ঘটনার কিনারা করতে না পারলেও পুলিস নিশ্চিত, এই ডাকাতির সঙ্গে পরিচিত কেউ যুক্ত। তাই দুষ্কৃতীরা ঘরে ঢুকে মিনিট কুড়ির মধ্যে ‘অপারেশন’ সেরে চম্পট দিতে পেরেছে। চাবি নিয়ে আলমারির লকার ভেঙে গয়না ও নগদ টাকা লুট করা হয়েছে। কিন্তু ঘরের অন্য কোথাও তারা হাত দেয়নি। ওই বাড়ির চারজন ভাড়াটের মধ্যে ঘটনার দিন যিনি ছিলেন না, তাঁরই ঘরের জানালার গ্রিল কেটে দুষ্কৃতীরা ঢুকেছিল। আরও রহস্যজনক হল, বাকি যাঁরা ঘরে ছিলেন, তাঁরা কিছুই টের পাননি। এই অবস্থায় তদন্তকারীরা গোয়েন্দা বাহিনীর সাহায্য নিচ্ছেন। এই আবহে পুলিসের বিরুদ্ধে ক্ষোভের আঁচ বাড়ছে নাগেরবাজার ও দমদম এলাকায়। শহরবাসীর অভিযোগ, রাতে পুলিসি টহল দেখাই যায় না। বড় সড়কগুলিতে তাদের মাঝেমধ্যে দেখা গেলেও অলিগলি একেবারে শুনশান থাকে। ফলে দুষ্কৃতীরা অবাধ যাতায়াত সম্ভব হচ্ছে।