রাত দেড়টা। পোষ্য ‘রকি’কে নিয়ে রাস্তায় বেরিয়েছিলেন কালীঘাটের এক বাসিন্দা। আচমকাই তাঁর পোষ্যকে কামড়ে দেয় পাড়ার এক নেড়ি কুকুর। রাস্তা থেকে অত রাতে তিনি সটান ফোন করেন স্থানীয় কাউন্সিলারকে। সরাসরি দাবি, ‘আপনি এখনই আসুন।’
গত বছরের তুলনায় এবার দুর্গাপুজোয় বিভিন্ন জেলা শহর ও মফস্সল থেকে রেকর্ড সংখ্যক দর্শনার্থী এসেছিলেন হাওড়া স্টেশনে। এই স্টেশনই হল কলকাতার অন্যতম গেটওয়ে। চারদিনে প্রায় ৬০ লক্ষ মানুষ এই হাওড়া স্টেশন থেকেই প্যান্ডেল হপিংয়ের জন্য ছড়িয়ে পড়েছিলেন মহানগরের বিভিন্ন প্রান্তে।
লক্ষ্মীপুজোর সকালে হঠাৎ হইচই। মোবাইল ক্যামেরা অন করে নদীর পাড়ে ভিড় জমিয়েছেন বাসিন্দারা। ‘ওই তো দেখা মিলেছে কুমিরের’— উৎসাহী জনতার চিৎকারে চড়া থেকে নেমে কুমির ততক্ষণে অগাধ জলে।
জয়নগরের স্কুল পড়ুয়া নাবালিকাকে ধর্ষণই করা হয়েছে। তারপর তাকে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়। ময়নাতদন্তের রিপোর্টে একথা স্পষ্ট জানিয়েছেন এইমসের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের দল। তবে কিশোরী যে গণধর্ষণের শিকার হয়নি, তাও উঠে এসেছে এই রিপোর্টে।
দুর্গাপুজোর রেশ কাটতে না কাটতেই এবার লক্ষ্মীপুজোকে কেন্দ্র করে উৎসবে মাতল হাওড়া গ্রামীণ জেলা। বিশেষ করে জেলার জয়পুরের খালনায় এখন রীতিমতো উৎসবের চেহারা। আলোর রোশনাই থেকে চোখধাঁধানো মণ্ডপ দেখতে বুধবার বিকেল থেকেই খালনা গ্রামে মানুষের ঢল নামে।
ব্যবসায়িক ক্ষেত্রে বাধায় চিন্তা ও উদ্বেগ। বেকারদের ভালো প্রতিষ্ঠানে কর্মপ্রাপ্তির প্রবল যোগ। ... বিশদ
নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: দফায় দফায় বৃষ্টি। ফলে লক্ষ্মীর পুজো শুরুর প্রাক মুহূর্তে ভিজে একসা শহর। পুজো করতে যাওয়ার পথে ঝমঝম বৃষ্টিতে পুরোহিতরা পড়লেন সমস্যায়। শেষ মুহূর্তের বাজার করতে গিয়ে ভিজলেন গৃহস্থ। রাস্তা জলে থই থই। সবমিলিয়ে নাজেহাল লক্ষ্মীপুজোর সন্ধ্যা। পূর্ণিমার চাঁদও বহুক্ষণ মেঘের আড়ালে মুখ লুকিয়ে থেকেছে।
এদিকে সরকারিভাবে বর্ষা বিদায়ের নির্ঘণ্ট ঘোষণা করে দিয়েছে আবহাওয়া দপ্তর। তবুও বুধবার সকাল থেকেই বৃষ্টিতে ভিজেছে শহর-শহরতলি। আবহাওয়া অধিকর্তা যদিও জানিয়েছেন, বর্ষা বিদায়ের পর এরকম বৃষ্টি হয়ে থাকে। আগামী কয়েকদিন দক্ষিণবঙ্গে বজ্রগর্ভ মেঘ সঞ্চারের প্রবণতা রয়েছে। তামিলনাড়ু উপকূল সংলগ্ন বঙ্গোপসাগরে একটি গভীর নিম্নচাপ তৈরি হওয়ায় তামিলনাড়ু ও অন্ধ্রপ্রদেশ, পণ্ডিচেরিতে বৃষ্টি চলছে। নিম্নচাপের প্রভাব এ রাজ্যে পড়বে না। তবে আগামী দিনে বঙ্গোপসাগরে ফের কোনও নিম্নচাপ হলে সেটি পশ্চিমবঙ্গ উপকূলের দিকে চলে আসতে পারে। অক্টোবর-নভেম্বরে বঙ্গোপসাগরের নিম্নচাপ হয়। শক্তি বাড়িয়ে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
অন্যদিকে লক্ষ্মীপুজোয় দফায় দফায় বৃষ্টি হওয়ায় কলকাতার বেশ কিছু অঞ্চল জলমগ্ন হয়ে পড়ে। হাওয়া দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, দুপুরের পর থেকে শহরের এই অংশে বড় মেঘপুঞ্জ তৈরি হয়। তার ফলে বৃষ্টি হয়েছে। সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউ, ই এম বাইপাস সহ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ রাস্তায় জল জমে যায়। এমনকি জল জমে মা ফ্লাইওভারের উপরও। বৃষ্টিতে যান চলাচল বিঘ্নিত হয়। এছাড়া মঙ্গলবার বেশি রাত থেকে বুধবার দিনভর হাওড়া, হুগলি, দুই বর্ধমান-২৪ পরগনা-মেদিনীপুর সহ দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলার একাধিক জায়গায় বৃষ্টি হয়েছে। কলকাতা পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, সন্ধ্যা পর্যন্ত পূর্ব কলকাতার পামারবাজারে সর্বোচ্চ ৪৯ মিমি বৃষ্টি হয়। চিংড়িঘাটাতে ৪৩ মিমি। পাগলাডাঙাতে ৩৭.৪০, ধাপা লকে ৪৫ মিমি, মার্কাস স্কোয়ারে ৪৩, বীরপাড়ায় ৪৪ ও মানিকতলায় ৩১ মিমি বৃষ্টিপাত হয়েছে। দক্ষিণ কলকাতায় যোধপুর পার্কে ১৪ মিমি, কালীঘাটে ৬, বালিগঞ্জে ৩, মোমিনপুরে দু’মিমি বৃষ্টিপাত হয়েছে। আলিপুর আবহাওয়া অফিসে রাত সাড়ে আটটা পর্যন্ত (গত ২৪ ঘন্টা) ৩৮ মিমি বৃষ্টিপাত রেকর্ড হয়েছে। আলিপুর আবহাওয়া অফিসের অধিকর্তা হবিবুর রহমান বিশ্বাস জানিয়েছেন, বঙ্গোপসাগরে একটি বিপরীত ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হয়েছে। তার প্রভাবে বায়ুমণ্ডলে বেশি মাত্রায় ঢুকছে জলীয় বাষ্প। তাপমাত্রা বেশি থাকার জন্য সে বাষ্প ঘনীভূত হয়ে বজ্রগর্ভ মেঘ সৃষ্টি করেছে। ফলে বৃষ্টি। সঙ্গে বজ্রপাত।
এদিকে সরকারিভাবে বর্ষা বিদায়ের নির্ঘণ্ট ঘোষণা করে দিয়েছে আবহাওয়া দপ্তর। তবুও বুধবার সকাল থেকেই বৃষ্টিতে ভিজেছে শহর-শহরতলি। আবহাওয়া অধিকর্তা যদিও জানিয়েছেন, বর্ষা বিদায়ের পর এরকম বৃষ্টি হয়ে থাকে। আগামী কয়েকদিন দক্ষিণবঙ্গে বজ্রগর্ভ মেঘ সঞ্চারের প্রবণতা রয়েছে। তামিলনাড়ু উপকূল সংলগ্ন বঙ্গোপসাগরে একটি গভীর নিম্নচাপ তৈরি হওয়ায় তামিলনাড়ু ও অন্ধ্রপ্রদেশ, পণ্ডিচেরিতে বৃষ্টি চলছে। নিম্নচাপের প্রভাব এ রাজ্যে পড়বে না। তবে আগামী দিনে বঙ্গোপসাগরে ফের কোনও নিম্নচাপ হলে সেটি পশ্চিমবঙ্গ উপকূলের দিকে চলে আসতে পারে। অক্টোবর-নভেম্বরে বঙ্গোপসাগরের নিম্নচাপ হয়। শক্তি বাড়িয়ে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
অন্যদিকে লক্ষ্মীপুজোয় দফায় দফায় বৃষ্টি হওয়ায় কলকাতার বেশ কিছু অঞ্চল জলমগ্ন হয়ে পড়ে। হাওয়া দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, দুপুরের পর থেকে শহরের এই অংশে বড় মেঘপুঞ্জ তৈরি হয়। তার ফলে বৃষ্টি হয়েছে। সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউ, ই এম বাইপাস সহ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ রাস্তায় জল জমে যায়। এমনকি জল জমে মা ফ্লাইওভারের উপরও। বৃষ্টিতে যান চলাচল বিঘ্নিত হয়। এছাড়া মঙ্গলবার বেশি রাত থেকে বুধবার দিনভর হাওড়া, হুগলি, দুই বর্ধমান-২৪ পরগনা-মেদিনীপুর সহ দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলার একাধিক জায়গায় বৃষ্টি হয়েছে। কলকাতা পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, সন্ধ্যা পর্যন্ত পূর্ব কলকাতার পামারবাজারে সর্বোচ্চ ৪৯ মিমি বৃষ্টি হয়। চিংড়িঘাটাতে ৪৩ মিমি। পাগলাডাঙাতে ৩৭.৪০, ধাপা লকে ৪৫ মিমি, মার্কাস স্কোয়ারে ৪৩, বীরপাড়ায় ৪৪ ও মানিকতলায় ৩১ মিমি বৃষ্টিপাত হয়েছে। দক্ষিণ কলকাতায় যোধপুর পার্কে ১৪ মিমি, কালীঘাটে ৬, বালিগঞ্জে ৩, মোমিনপুরে দু’মিমি বৃষ্টিপাত হয়েছে। আলিপুর আবহাওয়া অফিসে রাত সাড়ে আটটা পর্যন্ত (গত ২৪ ঘন্টা) ৩৮ মিমি বৃষ্টিপাত রেকর্ড হয়েছে। আলিপুর আবহাওয়া অফিসের অধিকর্তা হবিবুর রহমান বিশ্বাস জানিয়েছেন, বঙ্গোপসাগরে একটি বিপরীত ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হয়েছে। তার প্রভাবে বায়ুমণ্ডলে বেশি মাত্রায় ঢুকছে জলীয় বাষ্প। তাপমাত্রা বেশি থাকার জন্য সে বাষ্প ঘনীভূত হয়ে বজ্রগর্ভ মেঘ সৃষ্টি করেছে। ফলে বৃষ্টি। সঙ্গে বজ্রপাত।
