ব্যবসা ভালো হবে। কেনাবেচা ক্রমশ বাড়বে। অর্থাগম ভাগ্য আজ অনুকূল। দেহে দুর্বলতা। ... বিশদ
নরেন্দ্রপুর থানা এলাকার দুই কেন্দ্রীয় সরকারি চাকরিজীবী বিপুল টাকা খুইয়ে বিপাকে পড়েছেন। নরেন্দ্রপুর থানায় এই বিষয়ে অভিযোগ দায়ের হতেই তৎপরতা শুরু করেন পুলিস আধিকারিকরা। বারুইপুর পুলিস জেলার সাইবার থানাও এই নিয়ে পদক্ষেপ নিয়েছে। অনেক চেষ্টা করে তারা দুটি ঘটনায় খোয়া যাওয়া টাকার মধ্যে ৫০ লক্ষের সামান্য বেশি টাকা প্রতারকদের অ্যাকাউন্টে ফ্রিজ করতে সফল হয়েছে।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, যে দু’জন প্রতারিত হয়েছেন তাঁদের মধ্যে একজন কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কর্মরত। তাঁর স্বামী বিদেশে থাকেন। ওই মহিলার কাছে পুলিসের পরিচয় দিয়ে কয়েক সপ্তাহ আগে একটি ফোন এসেছিল। ওপার থেকে বলা হয়, তাঁর অ্যাকাউন্ট থেকে জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে বেআইনি আর্থিক লেনদেন হয়েছে। তিনি ফেঁসে যেতে পারেন। এই বিপদ থেকে রেহাই পেতে তাঁর অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা পাঠাতে হবে। বিষয়টি কাউকে জানালে ওই জঙ্গি সংগঠনের স্লিপার সেল অ্যাক্টিভ হয়ে যাবে এবং তাঁর ক্ষতি করতে পারে। ভয়ে মহিলা তাঁর একাধিক এফডি ভেঙে ফেলেন।
তিন দফায় আড়াই কোটির বেশি টাকা প্রতারকদের অ্যাকাউন্টে পাঠিয়ে দেন তিনি। পরে যখন বুঝতে পারেন প্রতারিত হয়েছেন, তখন পুলিসের দ্বারস্থ হন। তদন্তকারীরা জানতে পারেন যে, ওই টাকা তিনি তাঁর ছেলের উচ্চ শিক্ষার জন্য জমিয়েছিলেন। এমন ঘটনার পর আকাশ ভেঙে পড়ে মহিলার মাথায়। অপর ব্যক্তির কাছেও একই কায়দায় ফোন আসে। তিনিও ভয়ে তাঁর জমানো এক কোটির বেশি টাকা দিয়ে দেন প্রতারকদের। পরে পুলিসের দ্বারস্থ হন।
পুলিস তদন্তে নেমে জানতে পারে, রাজস্থান, দুবাইয়ের অ্যাকাউন্টে টাকা গিয়েছে। মুহূর্তের মধ্যে একাধিক অ্যাকাউন্টে টাকা ঢুকছে আবার সঙ্গে সঙ্গে তুলে নেওয়া হচ্ছে। তার মধ্যেই কোনও ক্রমে একজনের ১৯ লক্ষ এবং আরেকজনের ৩৩ লক্ষ টাকা ফ্রিজ করতে সক্ষম হয়েছে পুলিস। সেই টাকা যাতে ওই প্রতারিত পান, তার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। এই ধরনের প্রতারণার ফাঁদে যাতে সাধারণ মানুষ পা না দেন তার জন্য বারেবারে সতর্ক করেছে পুলিস। তারপরও আতঙ্কে, কখনও প্রলোভনে পড়ে টাকা খোয়াচ্ছেন সাধারণ মানুষ।