ব্যবসায়িক ক্ষেত্রে বাধায় চিন্তা ও উদ্বেগ। বেকারদের ভালো প্রতিষ্ঠানে কর্মপ্রাপ্তির প্রবল যোগ। ... বিশদ
কীরকম হইচই? চিকিৎসকদের একাংশের আঙুলের ছাপ নকল করে তৈরি করা হচ্ছে ‘সিলিকন ফিঙ্গার’! ডাক্তারবাবু মেডিক্যাল কলেজে আসুন বা না আসুন, বায়োমেট্রিক হাজিরা মেশিনে অনায়াসে তাঁর আঙুলের ছাপ পড়ে যাচ্ছে। দেশজুড়ে বেশ কিছু প্রাইভেট কলেজে এই অপকর্ম শুরু হয়েছে বলে অভিযোগ। এবার তাতে শিলমোহর দিল দেশের চিকিৎসা শিক্ষার শীর্ষ নিয়ন্ত্রক সংস্থা ‘ন্যাশনাল মেডিকেল কমিশন’ বা এনএমসি। প্রসঙ্গত এমএমসি বছরখানেক ধরে দেশের সমস্ত মেডিকেল কলেজে চিকিৎসকদের হাজিরায় ব্যাপক কড়াকড়ি শুরু করেছে। এনএমসির এই কড়াকড়ি আসলে ফাঁকিবাজ ডাক্তার, দুর্নীতিগ্রস্ত মেডিক্যাল কলেজগুলিকে হাতেনাতে ধরার জন্য। শুধু হাজিরা ইস্যুতে রাজ্যের বিভিন্ন সরকারি মেডিকেল কলেজকে ইতিমধ্যেই প্রায় কোটি টাকার বেশি ক্ষতিপূরণ দিতে বলেছে এনএমসি। দেশজুড়ে কম-বেশি সব রাজ্যের অসংখ্য মেডিক্যাল কলেজকে এমন জরিমানা করছে তারা। এই কড়াকড়ির জাল কেটে বেরিয়ে যাওয়ার জন্যই বাংলা সহ বেশ কিছু রাজ্যের কয়েকটি প্রাইভেট মেডিক্যাল কলেজ ডাক্তারদের সম্মতিক্রমে তাদের আঙুলের ছাপ নিয়ে সিলিকন ফিঙ্গার তৈরি করতে শুরু করেছে বলে অভিযোগ। সোমবার জারি করা এক নির্দেশে এনএমসি’র সেক্রেটারি বলেছেন, নকল আঙুলের ছাপ দিয়ে হাজিরা দেওয়া হচ্ছে বহু ক্ষেত্রে। এইসব বরদাস্ত করা হবে না। যদিও যাদবপুর এলাকার একটি প্রাইভেট মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ ডাক্তার শুদ্ধোধন বটব্যালের অবশ্য দাবি, ‘অন্য রাজ্যে হচ্ছে হয়তো। আমাদের এখানে হয় না। তাছাড়া এইসব করতে গিয়ে ধরা পড়লে সাত থেকে দশ বছরের জেল সঙ্গে রেজিস্ট্রেশন বাতিল। কলেজের অনুমোদনও বাতিল হবে। রাজ্যের স্বাস্থ্য অধিকর্তা (শিক্ষা) ডাঃ কৌস্তভ নায়েক বলেন, ‘শুনেছিলাম হাজিরা জালিয়াতি করতে সিলিকন ফিঙ্গার ব্যবহার হচ্ছে বেশ কিছু প্রাইভেট কলেজে। কিন্তু, কোনও প্রমাণ এখনও পাইনি।’