হস্তশিল্পীরা বিশেষ স্বীকৃতি ও সুনাম পেতে পারেন। পারিবারিক ক্ষেত্রে চাপ। ব্যয় কিঞ্চিৎ বাড়তে পারে। ... বিশদ
এমপি আনারকে খুনের সুপারি নেওয়া আমানুল্লাহর কথামতো সিয়াম বাংলাদেশ থেকে ভারতে আসে। তদন্তে জানা যাচ্ছে, সিয়ামের কাছে কোনও পাসপোর্ট ছিল না। তাকে বলা হয় ‘ধুর’-এর সাহায্য নিয়ে সীমান্ত পেরতে। এরজন্য তাকে পঞ্চাশ হাজার টাকা দিয়েছিল আমানুল্লাহ। বাংলাদেশ পুলিসের তথ্য অনুযায়ী, সীমান্তের ওপারের এক দালালের সঙ্গে সে যোগাযোগ করে। ওই দালালই তাকে বনগাঁ সীমান্তে নিয়ে আসে। ওই দালাল এপারে থাকা একজনের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেয়। তার হাত ধরেই সিয়াম রাজ্যে প্রবেশ করে। সীমান্ত থেকে গাড়ি নিয়ে সে সোজা নিউটাউনের ওই অভিজাত ফ্ল্যাটে চলে আসে। এখানে আসার পর তাকে ভুয়ো নথি তৈরি করে দিয়েছিল দালালরা, যাতে থাকতে কোনও সমস্যা না হয়। সূত্রের খবর, জাল নথি দিয়ে তাকে বাংলাদেশের পাসপোর্টও বানিয়ে দিয়েছিল দালাল চক্র। নেপালে লুকিয়ে থাকতে সাহায্য করেছিল অন্য এক দালাল। তারা কারা, এই বিষয়ে সিয়ামের কাছ থেকে তথ্য জানা জরুরি। সেই কারণে তাকে বেআইনি অনুপ্রবেশের মামলায় হেফাজতে চাইছেন তদন্তকারীরা।
পাশাপাশি সিয়াম তদন্তকারীদের জানিয়েছে, এমপি আনারের দেহ টুকরো টুকরো করার পর দেহাংশ সে প্যাকেটে ভরে। এরপর স্নান করে একটা গাড়ি ভাড়া নিয়ে নিউ মার্কেটে আসে। সেখান থেকে পরিবারের লোকজনের জন্য বিভিন্ন জিনিস কেনাকাটি করে। এগুলি নিয়ে নেপাল হয়ে তার বাংলাদেশে ফিরে যাওয়ার কথা ছিল। কলকাতা থেকে বাস ধরে সে বিহার যায়। রক্সোল সীমান্ত দিয়ে নেপালে ঢোকে। তখনও তার সঙ্গে এই সমস্ত সামগ্রী ছিল। কিন্তু এরমাঝে ধরা পড়ে যাওয়ায় বাড়িতে এগুলি পৌঁছতে পারেনি।