হস্তশিল্পীরা বিশেষ স্বীকৃতি ও সুনাম পেতে পারেন। পারিবারিক ক্ষেত্রে চাপ। ব্যয় কিঞ্চিৎ বাড়তে পারে। ... বিশদ
চার-চারটে ধমনিই ব্লক। সবগুলিই প্রায় ১০০ শতাংশ! একটি হার্টে, দুটি ব্রেনে এবং অন্যটি দু’হাতে রক্ত সরবরাহকারী ধমনি। যেকোনও মুহূর্তে মানুষটির মৃত্যু হতে পারে হার্ট অ্যাটাকে। অথবা সাক্ষাৎ যম হয়ে আসতে পারে ব্রেন স্ট্রোক। কীভাবে এ রোগী জীবিত আছেন, অবাক হচ্ছিলেন তাঁরা!
কী পাওয়া গিয়েছিল অ্যাঞ্জিওগ্রাফিতে? বাবলুবাবু যাঁর অধীনে ভর্তি হন, আর জি কর মেডিক্যাল কলেজের হৃদরোগ বিভাগের সেই সহকারী অধ্যাপক ডাঃ শুভ্র চক্রবর্তী বলেন, ‘এমন ঘটনা আমি কোনওদিন তো দেখিইনি, ক’জন দেখেছেন, বলা কঠিন।’ তিনি বলেন, ‘অ্যাঞ্জিওগ্রাফিতে দেখলাম, হার্টে রক্ত সরাবরাহকারী লেফট ইনটিরিয়ার ডিসেন্ডিং আর্টারিতে (এলএডি) প্রায় ১০০ শতাংশ ব্লক। প্রায় ১০০ শতাংশ ব্লক লেফট কমন ক্যারোটিড আর্টারিও। যে ধমনি মানব মস্তিষ্কের বাম অংশে রক্ত সরবরাহ করে। শুধু তাই নয়, বাম হাতে রক্ত সরবরাহকারী লেফট সাবক্লেভিয়ান আর্টারিও প্রায় পুরো বন্ধ। এমনকী মস্তিষ্কের ডান দিক ও ডান হাতে রক্ত সরবরাহকারী ব্র্যাকিওসেফালিক ট্রাঙ্কেও রক্ত সরবরাহ ১০০ শতাংশ ব্লক! রোগী রয়েছেন জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে! ওকে বাঁচাতে প্রায়োজনীয় যন্ত্রপাতির অনুমোদন দিয়ে আমাদের বিভাগীয় প্রধান থেকে অধ্যক্ষ, প্রত্যেকেই সহযোগিতা করেছেন।’
এই পরিস্থিতিতে মঙ্গলবার দুপুর ১২টা নাগাদ শুভ্রবাবুর টিম অপারেশনে নামেন। সাড়ে চার ঘণ্টা ধরে বন্ধ হয়ে যাওয়া ধমনিগুলি খুলতে একটার পর একটা স্টেন্ট লাগানোর পর্ব চলে। তারপর, সঙ্গে সঙ্গে রোগীর কবজি এবং গলার পালস ফিরে আসে। কিছুক্ষণের মধ্যে মাথা ঘোরা এবং অস্বস্তিবোধের সমস্যাগুলি চলে যায়। শুধু তাই নয়, ব্র্যাকিওসেফালিক ট্রাঙ্কে স্টেন্ট বসানো বাকি থাকলেও, সেখানে রক্ত সরবরাহের পরিমাণ অনেক বেড়ে যায়। রোগীর ছেলে অতনু দে বলেন, ‘বাবাকে যেভাবে ওঁরা বাঁচিয়েছেন, কোনও কৃতজ্ঞতাই যথেষ্ট নয়। নিজের পরিবারের সদস্যের মতোই আগলে রেখেছেন ডাক্তারবাবুরা।’ প্রবীণ হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ডাঃ অরূপ দাশ বিশ্বাস বলেন, ‘সরকারি পরিকাঠামোয় এই ঘটনা বিরল। আর জি কর-এর টিমকে অভিনন্দন জানাই।’