হস্তশিল্পীরা বিশেষ স্বীকৃতি ও সুনাম পেতে পারেন। পারিবারিক ক্ষেত্রে চাপ। ব্যয় কিঞ্চিৎ বাড়তে পারে। ... বিশদ
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বহু বছর আগে দক্ষিণ দমদম পুরসভা এলাকায় নতুন হাসপাতালের স্বপ্ন দেখেছিলেন স্থানীয় বাসিন্দা সুধীর ঘোষ। নাগেরবাজার মোড়ের অদূরে (২১ নম্বর ওয়ার্ড) যশোর রোডের উপর বহুমূল্য প্রায় ১২ কাঠা জমি তিনি পুরসভাকে দান করেন। তারপর কয়েক দশক কাটলেও হাসপাতাল হয়নি। ২০০৯ সালে তৃণমূল পরিচালিত পুরবোর্ড ওই জমিতে সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল তৈরির সিদ্ধান্ত নেয়। ২০১২ সালে কাজ শুরু হয়। ২০২২ সাল নাগাদ তা সম্পূর্ণ হয়। এখন ওই জমিতে হাসপাতালের জন্য মাথা তুলেছে ছ’তলা ভবন। দু’টি ডিজি জেনারেটর, সেন্ট্রাল এসির জন্য নানা সামগ্রী, লিফটের মেশিন এসে পড়ে রয়েছে। কিন্তু হাসপাতাল চালু হচ্ছে না। বিভিন্ন সামগ্রী চুরি হয়ে যাচ্ছে।
দক্ষিণ দমদম পুরসভা লাগোয়া হাসপাতাল নতুন ভবনে স্থানান্তর নিয়ে কয়েক মাস আগে সিআইসি বৈঠকে প্রস্তাব অনুমোদিত হয়। গত ১৮ তারিখ বোর্ড মিটিংয়ে এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে গর্জে ওঠেন দমদম বিধানসভা এলাকার মধ্যে থাকা কাউন্সিলাররা। প্রাক্তন তৃণমূল নেতা তথা নির্দল কাউন্সিলার দেবাশিস বন্দ্যোপাধ্যায় তীব্র প্রতিবাদ করে বলেন, ‘এতদিনের পুরনো হাসপাতাল কেন সরানো হবে? ওখানে নতুন হাসপাতাল চালু হোক পুরনো হাসপাতাল চালু রেখে।’ দমদম বিধানসভা এলাকার কাউন্সিলাররা তাঁর দাবি সমর্থন করেন। শেষ পর্যন্ত হাসপাতাল স্থানান্তরের সিদ্ধান্ত ঝুলে যায়। আগামী ২৮ তারিখ ফের বোর্ড মিটিংয়ে এনিয়ে জলঘোলা হতে পারে বলে খবর।
২০০৯ সালে তৃণমূল পুরবোর্ডের চেয়ারপার্সন তথা বর্তমানে ২১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার অঞ্জনা রক্ষিত বলেন, ‘আমরা প্রথমবার পুরসভায় ক্ষমতায় এসে ওই জায়গায় হাসপাতাল তৈরির কাজ শুরু করেছিলাম। অনেকদিন হল, নির্মাণ সম্পূর্ণ হয়েছে। এখন হাসপাতাল স্থানান্তর নিয়ে মতান্তর শুরু হয়েছে। জানি না কবে এই হাসপাতাল চালু হবে।’ দক্ষিণ দমদম শহর তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি (দমদম বিধানসভা) তথা ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার সুকান্ত শেনশর্মা বলেন, ‘পুরনো হাসপাতালটি রেখে নতুন হাসপাতাল তৈরিতে আমাদের পূর্ণ সমর্থন রয়েছে। আমরা হাসপাতাল স্থানান্তরের সিদ্ধান্ত সমর্থন করছি না।’ পুরসভার স্বাস্থ্য বিভাগের সিআইসি সঞ্জয় দাস বলেন, ‘পুরসভা লাগোয়া হাসপাতালে জায়গার সমস্যা সহ আরও কিছু সমস্যার জন্য হাসপাতাল স্থানান্তরের সিদ্ধান্ত হয়েছিল। অনেক কাউন্সিলার ওই সিদ্ধান্তে আপত্তি জানিয়েছেন। ডাক্তারদের গাড়ি পার্কিংয়ের প্রচুর সমস্যা রয়েছে। তাই নবনির্মিত ভবনে হাসপাতালের আউটডোর স্থানান্তরের ভাবনাচিন্তা চলছে।’