ছোট ও মাঝারি ব্যবসার প্রসার ও বিক্রয় বৃদ্ধি। অর্থাগম ক্রমশ বাড়বে। মানসিক অস্থিরতা। ... বিশদ
আমাদের সময় অরুণ দা, প্রদীপ দা অনুশীলনে হাতে ধরে ডিফেন্স সংগঠন শেখাতেন। তাঁরা বারবার বলতেন, ‘অলওয়েজ গো ফর দ্য বল।’ তবে এখনকার ডিফেন্ডাররা কখন বল পায়ে আসবে, তার জন্য অপেক্ষা করে। ফলে যা হওয়ার সেটাই হচ্ছে। তারকাখচিত মোহন বাগান আপফ্রন্ট প্রতিনিয়ত গোল করছে। তবে রক্ষণের গদলের কারণে তা ধরে রাখতে ব্যর্থ। মনে রাখতে হবে, প্রতিদিন কিন্তু দু’গোল হজম করে তিন গোল দেওয়া সম্ভব নয়। সেক্ষেত্রে কোচ মোলিনাকে আরও বেশি সচেতন থাকতে হবে। একইসঙ্গে আশিস রাইদের পারফরম্যান্সেও উন্নতির অবকাস রয়েছে। শুভাশিসকে মনে রাখতে হবে, গোল বাঁচানো ওর আসল কাজ। সোমবারের ম্যাচে জিতিন তো রীতিমতো ওকে ল্যাজেগোবরে করে দিয়েছিল। ভাগ্য সহায় থাকলে দ্বিতীয় মিনিটেই ম্যাচে লিড নিতে পারত নর্থইস্ট। সেক্ষেত্রে কিন্তু মোহন বাগানের ঘুরে দাঁড়ানোর কাজটা আরও কঠিন হতো।
অন্যদিকে, জেসন কামিংসের প্রশংসা করতেই হবে। ও কত বড় মাপের ফুটবলার, তা আরও একবার প্রমাণ করে দেখাল। একজন দক্ষ স্ট্রাইকারের কাজ প্রতিপক্ষ বক্সে অরক্ষিত জায়গা খুঁজে গোলের জন্য ওত পেতে অপেক্ষা করা। অজি বিশ্বকাপার সেই কাজে সিদ্ধহস্ত। অবশ্যই এই গোলের ক্ষেত্রে নর্থইস্ট রক্ষণে গলদ ছিল। ডিফেন্ডাররা মার্ক না করে প্যারালাল দাঁড়িয়ে ছিল। সেই সুযোগটাই কাজে লাগায় কামিংস। পাশাপাশি দ্বিতীয় গোলের ক্ষেত্রেও গোলরক্ষকের উচিত ছিল আগেই বলটা ফিস্ট করে বার করে দেওয়া। বৃষ্টির মধ্যে ওই জায়গায় বল গ্রিপ করা সবসময় কঠিন হয়ে পড়ে। একইসঙ্গে শুভাশিস শট নেওয়ায় মুহূর্তে বলটা ওর নাগালে ছিল কিনা, তা নিয়েও বিতর্ক থাকছে। খালি চোখে কিন্তু ওটা ফাউল মনে হয়েছে। তবে রেফারি গোলের সিদ্ধান্ত দেওয়ায় সেটা মেনে নিতেই হবে।