ব্যবসা ভালো হবে। কেনাবেচা ক্রমশ বাড়বে। অর্থাগম ভাগ্য আজ অনুকূল। দেহে দুর্বলতা। ... বিশদ
ব্রাসেলসে দ্বিতীয় হওয়ার পর সোশ্যাল মিডিয়ায় নীরজ জানান, ‘অনুশীলনে চোট পেয়েছিলাম বাঁ হাতে। এক্স-রে করে দেখা যায় চতুর্থ মেটাকারপাল ভেঙে গিয়েছে। ফলে প্রতিযোগিতায় নামা আমার কাছে রীতিমতো চ্যালেঞ্জের ব্যাপার ছিল। শেষ পর্যন্ত সাপোর্ট টিমের আপ্রাণ চেষ্টায় ব্রাসেলসে নামতে পেরেছি।’ উল্লেখ্য, মেটাকারপালকে তালুর হাড় হিসেবেও চিহ্নিত করা হয়। কব্জি ও আঙুলের মধ্যে এর অবস্থান। হাতের পাঁচটি আঙুলের সঙ্গে যুক্ত থাকে মেটাকারপাল। ফলে প্রতিটি হাতে এর সংখ্যা থাকে পাঁচ। নীরজ জ্যাভেলিন ছোড়েন ডান হাতে। কিন্তু ছোড়ার পর শরীরের ভারসাম্য রক্ষার কাজে বড় ভূমিকা থাকে বাঁ হাতের। জ্যাভেলিন ছোড়ার ফলোথ্রু-তে জমিতে বাঁ হাত ঠেকিয়েই সংঘর্ষ আটকান তিনি। কিন্তু শনিবার ব্রাসেলসে তা করা যায়নি। যতটা সম্ভব বাঁ হাতের ব্যবহার এড়িয়েছেন নীরজ। সেই দৃষ্টিকোণে এদিনের পারফরম্যান্সের তাৎপর্যই আলাদা।
বছরভর ফিটনেস নিয়ে ভুগছেন নীরজ। কুঁচকির চোটের জন্য কখনওই সেরাটা মেলে দিতে পারেননি। ওলিম্পিকসে আসেনি সোনা। ৯০ মিটারের গণ্ডিও অল্পের জন্য টপকানো যায়নি। শোনা যাচ্ছিল, তাঁর কুঁচকিতে অস্ত্রোপচার করতে হতে পারে। এর মধ্যেই বাঁ হাতের চোট পরিস্থিতি আরও জটিল করেছে। তবে আপাতত বড় কোনও প্রতিযোগিতা সামনে নেই নীরজের। পরের বছর টোকিওতে বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপ রয়েছে ১৩-২১ সেপ্টেম্বর। গতবার এখানে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলেন তিনি। সেই সাফল্য ধরে রাখাই লক্ষ্য তাঁর। অবশ্য তার আগে নিজেকে একশোভাগ ফিট করে তোলাই বড় চ্যালেঞ্জ পানিপতের তারকার।
এই বছর অবশ্য প্রত্যাশাপূরণ হয়নি নীরজের। ১৮ জুন ফিনল্যান্ডে পাভো নুরমি গেমস ছাড়া কোথাও চ্যাম্পিয়ন হননি। তাঁর কথায়, ‘ব্রাসেলসের চ্যাম্পিয়ন্স লিগই ছিল বছরের শেষ প্রতিযোগিতা। প্রবলভাবে জিততে চেয়েছিলাম। কিন্তু সেই প্রত্যাশা পূরণ হল না। তবে এই মরশুমে অনেক কিছুই শিখেছি। এবার পুরো সুস্থ হয়ে ফিরতে বদ্ধপরিকর। নতুনভাবে ঝাঁপিয়ে পড়াই আমার ফোকাস। বছরজুড়ে যাঁরা পাশে থেকেছেন, তাঁদের সবাইকে ধন্যবাদ। ২০২৪ সাল আমাকে আরও উন্নত অ্যাথলিট ও মানুষ হিসেবে পরিণত করেছে।’