ব্যবসা ভালো হবে। কেনাবেচা ক্রমশ বাড়বে। অর্থাগম ভাগ্য আজ অনুকূল। দেহে দুর্বলতা। ... বিশদ
কলকাতার তিন প্রধানের মধ্যে সবার আগে অনুশীলনে নেমেছে ইস্ট বেঙ্গল। প্রায় আড়াই মাস দল নিয়ে প্রস্তুতি সেরেছেন কোচ কুয়াদ্রাত। অথচ এখনও তিনি রক্ষণ সংগঠনে ব্যর্থ। প্রতিপক্ষ আক্রমণে উঠলে ডিফেন্ডারদের কোন পজিশনে থাকা উচিত, সেটাই জানে না এই দলের অর্ধেক ফুটবলার। না হলে ওই জায়গা থেকে কখনও বেঙ্গালুরু গোল পেত না। আমাদের সময় সুব্রত ভট্টাচার্য, মনোরঞ্জন ভট্টাচার্য কিংবা তরুণ দে খেললে এ ধরনের পরিস্থিতিতে বল গোলরক্ষক পর্যন্ত পৌঁছতই না। একইসঙ্গে কোচ কার্লেস কুয়াদ্রাতকেও এই হারের দায় নিতে হবে। বেঙ্গালুরুর বিরুদ্ধে তাঁর দল নির্বাচনই স্পষ্ট, হার এড়ানোই প্রধান লক্ষ্য ছিল স্প্যানিশ কোচের। তা না হলে মাদি তালালকে তিনি বেঞ্চে রাখতেন না। এবছর ইস্ট বেঙ্গল দলের হৃদপিণ্ড এই ফরাসি ফুটবলার। অথচ তাঁকেই বাইরে রেখে প্রথম একাদশ সাজাচ্ছেন কোচ! তার উপর লালচুংনুঙ্গাকে লেফট-ব্যাক পজিশনে রেখে যে ফাটকা খেলতে চেয়েছিলেন তিনি, তাও কাজে আসেনি। এই মিজো ফুটবলার তো ডিপ ডিফেন্সেই নিজের দায়িত্ব ঠিকঠাক পালন করতে পারে না। তাকে কীভাবে কোচ লেফট উইং-ব্যাকে খেলানোর ঝুঁকি নিলেন? আমি দায়িত্বে থাকলে এই দলে অবশ্যই হীরা মন্ডলকে সুযোগ দিতাম। কলকাতা লিগে ছেলেটা ধারাবাহিকভাবে পারফর্ম করছে। অতীতে আইএসএলে খেলারও অভিজ্ঞতা রয়েছে। অথচ ওকে বাইরে রেখে নানারকম পরীক্ষা নিরীক্ষার পথে হাঁটছেন ‘মিস্টার প্রফেসর’। দ্বিতীয়ার্ধে তালাল, বিষ্ণু, আমনরা নামতে ইস্ট বেঙ্গলের আক্রমণে গতি বেড়েছিল। কিন্তু ক্লেটনের ওই মিস ক্ষমার অযোগ্য। কেরল ম্যাচের আগে এই দিকগুলি অবশ্যই ভাবা উচিত কুয়াদ্রাতের।
আনোয়ারকে ঘিরে জটিলতা ইস্ট বেঙ্গলের জন্য বড় ধাক্কা। এটা অস্বীকারের কোনও জায়গা নেই। তাই কোচের স্ট্র্যাটেজিতে রদবদল আনা প্রয়োজন। তা নাহলে মুম্বই সিটি, পাঞ্জাব, গোয়া, নর্থইস্টের মতো দলের বিরুদ্ধে আরও সমস্যায় পড়বে ইস্ট বেঙ্গল।