হস্তশিল্পীরা বিশেষ স্বীকৃতি ও সুনাম পেতে পারেন। পারিবারিক ক্ষেত্রে চাপ। ব্যয় কিঞ্চিৎ বাড়তে পারে। ... বিশদ
২০২২ সালের টি-২০ বিশ্বকাপ ও গতবছরের ওডিআই বিশ্বকাপেও অজিদের বশ মানানোর কাছাকাছি পৌঁছেছিল আফগানরা। কিন্তু শেষ পর্যন্ত স্বপ্নপূরণ হয়নি। এবার অবশ্য সেটাই ঘটল। মিচেল স্টার্কদের দলকে হারিয়ে তাদের রীতিমতো চাপে ফেলে দিল আফগানিস্তান। দুরন্ত এই জয়ের নায়ক গুলবাদিন নাইব। ডানহাতি পেসার মাত্র ২০ রানে চার উইকেট নিয়ে ভাঙলেন অস্ট্রেলিয়াকে। ১৪৯ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ১৯.২ ওভারে দাঁড়ি পড়ল মার্শদের ইনিংসে (১২৭)।
সেন্ট ভিনসেন্টের আরনোস ভেল মাঠে টস হেরে ব্যাট করতে নেমেছিল আফগানিস্তান। রহমানউল্লাহ গুরবাজ ও ইব্রাহিম জাদরান, দুই ওপেনার বড় রানের ভিত গড়ে দেন। প্রথম উইকেটে ১৫.৫ ওভারে তাঁরা তোলেন ১১৮। ৪৯ বলে গুরবাজ করেন ৬০। তাঁর ইনিংসে ছিল চারটি চার ও চারটি ছক্কা। ৪৮ বলে জাদরানের সংগ্রহ ৫১। তিনি মারেন ছয়টি বাউন্ডারি। এরপর অবশ্য ধস নামে আফগান ইনিংসে। প্যাট কামিন্স টি-২০ বিশ্বকাপে প্রথম বোলার হিসেবে দ্বিতীয় হ্যাটট্রিকের নজির গড়েন। বৃহস্পতিবার বাংলাদেশের বিরুদ্ধে হ্যাটট্রিক করেছিলেন তিনি। এদিন আফগানিস্তানের বিরুদ্ধেও পরপর তিন বলে উইকেট নেন তিনি। তাঁর শিকার রশিদ খান, করিম জানাত ও গুলবাদিন নাইব। কামিন্স (৩-২৮) ছাড়াও উইকেট নেন অ্যাডাম জাম্পা (২-২৮) ও মার্কাস স্টোইনিস (১-১৯)। ছয় উইকেটে ১৪৮ রানে থামে আফগানিস্তান।
অস্ট্রেলিয়ার শুরুটা ভালো হয়নি। ট্রাভিস হেড (০) ও মিচেল মার্শকে (১২) তিন ওভারের মধ্যে ফেরান নবীন-উল-হক। ডেভিড ওয়ার্নার (৩) আউট হন মহম্মদ নবির বলে। পাওয়ার প্লে’র ছয় ওভারে অস্ট্রেলিয়ার রান ছিল ৩৩-৩। এরপর শুরু গুলবাদিনের খেল। মার্কাস স্টোইনিস (১১), টিম ডেভিডের (২) পর বিপজ্জনক দেখানো গ্লেন ম্যাক্সওয়েলও (৫৯) তাঁর শিকার। ম্যাথু ওয়েডও (৫) ফেরেন গুলবাদিনের বলে। নবীন-উল-হক (৩-২০), মহম্মদ নবি (১-১), আজমাতুল্লাহ ওমরজাই (১-১০), রশিদ খান (১-২৩) বাকি উইকেট ভাগ করে নেন।
শেষ ওভারে অ্যাডাম জাম্পা (৯) আউট হতেই উল্লাস শুরু হয় আফগান শিবিরে। অধিনায়ক রশিদ খান বলেন, ‘এটা আমাদের দল ও জাতির কাছে মস্ত বড় জয়। অস্ট্রেলিয়াকে হারানোর অনুভূতিই আলাদা। এটা সবে শুরু। সেমি-ফাইনালের কথাই ভাবছি আমরা।’