ব্যবসা ভালো হবে। কেনাবেচা ক্রমশ বাড়বে। অর্থাগম ভাগ্য আজ অনুকূল। দেহে দুর্বলতা। ... বিশদ
প্রীতমের মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ গোটা গ্রাম। পুলিস জানিয়েছে, শুক্রবার সকালে প্রীতমের মৃতদেহ পাওয়া গিয়েছে। গলায় ফাঁস ছিল। প্রাথমিকভাবে খুন বলেই মনে হচ্ছে। তদন্ত চলছে।
পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, পাটিকাবাড়ি হাই স্কুলের নবম শ্রেণিতে পড়ত প্রীতম। তাঁর বাবা দিনমজুর। পরিবারের আর্থিক অবস্থা ভালো নয়। তবুও কয়েকদিন আগে তাঁকে দামি স্মার্টফোন কিনে দেওয়া হয়েছিল। তাতেই ভিডিও গেম খেলত প্রীতম। তাঁর বন্ধুরাও ওই ফোনে গেম খেলত। তাঁর দাদা রাজু বিশ্বাসের কথায়, বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে চারটে নাগাদ প্রীতম প্রাইভেট টিউশনে যায়। বাড়ি থেকে আড়াই কিলোমিটার দূরে পড়তে যেত সে। টিউশন শেষ হয় সন্ধ্যা সাড়ে ছ’টা নাগাদ। কিন্তু বৃহস্পতিবার বাড়ি ফিরতে একটু দেরি হতে পারে, এমনটা জানিয়েই টিউশনে গিয়েছিল প্রীতম। কিন্তু অনেক সময় পেরিয়ে যাওয়ার পরও সে না ফেরায় বাড়ির লোকজনের সন্দেহ হয়। তাঁরা বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি শুর করেন। তাঁর বন্ধুবান্ধব সহ পরিচিত বিভিন্ন জনের বাড়িতে খোঁজ নেন তাঁরা। এমনকী নাকাশিপাড়া থানাতে পুলিসের সঙ্গেও যোগাযোগ করেন। বন্ধুবান্ধবরা সকালেই বলে, সে নাকি অনেকক্ষণ আগেই বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছেন। রাতভর খোঁজাখুঁজি করেও তাকে পায়া যায়নি।
শুক্রবার গ্রামের এক গৃহবধূ প্রীতমের সাইকেল পড়ে থাকতে দেখেন। সঙ্গে সঙ্গে তিনি প্রীতমের বাড়িতে খবর দেন। বাড়ির লোকজন ও প্রতিবেশীরা আশেপাশে খোঁজাখুঁজি শুরু করে দেন। শেষ পর্যন্ত একটা ঝোপের আড়ালে প্রীতমের মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখা যায়। সঙ্গে সঙ্গে গ্রামে হইচই পড়ে যায়। পুলিস এসে মৃতদেহ উদ্ধার করে। • নবম শ্রেণির ছাত্রের পড়ুয়ার মৃত্যুতে শোকাহত পরিজনরা। -নিজস্ব চিত্র