ব্যবসা ভালো হবে। কেনাবেচা ক্রমশ বাড়বে। অর্থাগম ভাগ্য আজ অনুকূল। দেহে দুর্বলতা। ... বিশদ
ভোরের দিকে সেই কাটা গাছ সরানো হচ্ছিল। খবর পেয়ে জমির মালিকানার অন্য দাবিদার সেখানে পৌঁছন। তাঁর চেঁচামেচিতে লোকজন জড়ো হতে শুরু করলে যারা গাছ কেটেছিল, তারা চম্পট দেয়। ফেলে যায় একটি বাইক। পরে ঘটনাস্থলে পৌঁছে পুলিস কাটা গাছগুলি উদ্ধার করে নিয়ে যায়। গাছ কাটার অনুমতি ছিল কিনা-তা জানতে পুলিস ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।
শুক্রবার সকালে দেখা যায়, কয়েকজন লোক একের পর এক কাটা গাছ যন্ত্রচালিত ভ্যানে বোঝাই করছে। বিষয়টি জানাজানি হতেই রে রে করে ছুটে আসেন নির্মল বিশ্বাস নামে এক ব্যক্তি। তিনি নিজেকে ওই জমির মালিক বলে দাবি করেন। যারা গাছ কেটেছিল, তাদের ধাওয়া করেন। লোকজন জড়ো হতে শুরু করলে গাছ ও বাইক ফেলে তারা চম্পট দেয়। নির্মলবাবুর দাবি, এই জমির মালিক তিনি। এলাকারই অন্য এক ব্যক্তি নিজেকে জমিটির মালিক বলে দাবি করেন। রাতের অন্ধকারে লোকজন ভাড়া করে তিনিই পাঁচটি গাছ কেটে সরিয়ে ফেলার চেষ্টা করছিলেন। নির্মলবাবু যাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলছেন, সেই ব্যক্তি আবার পুলিসের কাছে নিজেকে জমির মালিক বলে দাবি করেন।
সকালবেলায় এই গণ্ডগোলের খবর পেয়ে শান্তিপুর থানার পুলিস ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। তারা যন্ত্রচালিত ভ্যানে বোঝাই কাটা আমগাছের অংশ উদ্ধার করে। গাছ কাটতে আসা লোকজন ঘটনাস্থলে একটি বাইক ফেলেই চম্পট দিয়েছিল। সেটিও পুলিস বাজেয়াপ্ত করেছে।
সূত্রের খবর, জমির মালিকানা নিয়ে দু’পক্ষের টানাপোড়েন একসময় আদালত অবধি গড়িয়েছিল। এখনও তার নিষ্পত্তি হয়নি। কিন্তু এই ঘটনার পর প্রশ্ন ওঠে, গাছ যারাই কাটুক, আদৌ কী তাদের কাছে গাছ কাটার অনুমতি ছিল? বিষয়টি খতিয়ে দেখছে পুলিস। বিনা অনুমতিতে গাছ কাটা হলে আইনি পদক্ষেপ করা হবে বলেও পুলিস জানিয়েছে। তবে এঘটনায় কোনও লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়নি।