ব্যবসা ভালো হবে। কেনাবেচা ক্রমশ বাড়বে। অর্থাগম ভাগ্য আজ অনুকূল। দেহে দুর্বলতা। ... বিশদ
জানা গিয়েছে, নবদ্বীপ পুরসভার ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা নন্দীপাড়ার পপি প্রামাণিক দাস নামে ওই বধূর অভিযোগ, তাঁরা রেডিমেড পোশাকের পাইকারি ব্যবসায়ী। ব্যবসার কারণে তাঁদের লোনের প্রয়োজন হওয়ায় নবদ্বীপ দেয়ারা পাড়া নিবাসী বাবাই সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। এরপর বাবাই বটতলা কানাইনগরে একটি ফাইন্যান্স সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ করিয়ে দেয়। এরপর ওই সংস্থার একজন লোন ম্যানেজারের প্রতিনিধি পরিচয় দিয়ে মিঠুন হালদার গত ১৬ সেপ্টেম্বর লোন করে দেওয়ার জন্য যোগাযোগ করেন পপির সঙ্গে। বধুর প্যান কার্ড, দু’বছরের জিএসটির রিটার্ন ফাইল, আইটিআর, দু’বছরের ট্রেড লাইসেন্স, ব্যাঙ্ক স্টেটমেন্ট এবং একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের ক্যান্সেল দু’টি চেক নিয়ে নেয়। ১৮ সেপ্টেম্বর উক্ত চেক নিয়ে ব্যাঙ্কের ওই প্রতিনিধি নবদ্বীপ চারিচারা বাজারের একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক থেকে বধূর অজ্ঞাতে তাঁর অ্যাকাউন্ট থেকে ৫০ হাজার টাকা তোলার চেষ্টা করে। কিন্তু চেকের সই মিল না হওয়ায় টাকা তুলতে পারেনি। ওই রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক থেকে ফোন করে এই ঘটনা জানানো হয় বধুকে। এই ঘটনার পর মিঠুনের উপর তাঁর সন্দেহ হয়। এরপরও ওই বধুর সঙ্গে যোগাযোগ করে মিঠুন। বৃহস্পতিবার অভিযুক্ত মিঠুন তাঁর সঙ্গে দেখা করে আরও কিছু নথিপত্র চায়। তাতেই পপির সন্দেহ আরও গাঢ় হয়। তিনি স্বামী সহ অন্যান্যদের খবর দেন। সকলে এসে মিঠুনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। পরে নবদ্বীপ থানায় প্রতারণার অভিযোগ দায়ের করেন। বধুর স্বামী কেশব দাস জানান, পুজোর আগে ব্যবসায়িক কারণে এ লোনের প্রয়োজন হয়। ওই ক্যানসেল চেক দিয়ে টাকা তোলার চেষ্টা করেছিল অভিযুক্ত। ধৃত মিঠুনের কাছে ফেক আইডি ফেক ডকুমেন্ট এবং সাত আটটা সিমকার্ড বিভিন্ন ব্যাঙ্কের আই কার্ড পাওয়া গিয়েছে।