ব্যবসা ভালো হবে। কেনাবেচা ক্রমশ বাড়বে। অর্থাগম ভাগ্য আজ অনুকূল। দেহে দুর্বলতা। ... বিশদ
বহরমপুর থানার আইসি উদয় শঙ্কর ঘোষ বলেন, আমরা এক অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছি। তবে এই ঘটনার মূল অভিযুক্ত এখনও পলাতক। এদিনের ধৃত যুবক ওই রাতে অভিযুক্তদের টোটোয় চাপিয়ে শহরের বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে বেড়িয়েছে বলে আমরা জানতে পেরেছি। কী কারণে এই খুনের ঘটনা ঘটল, সে ব্যাপারে আমরা তদন্ত চালাচ্ছি।
জানা গিয়েছে, বিশ্বকর্মা পুজোর দিন বেলডাঙায় নিজের বাড়ি থেকে ট্রাক নিয়ে এসে পঞ্চাননতলায় সিন্ডিকেটের পুজোয় অংশ নিয়েছিলেন তাপস। তারপর রাতে বন্ধুদের সঙ্গে মদ্যপান করেন তিনি। মধ্যরাতে ভোলার টোটোয় চেপে বন্ধুদের সঙ্গে বহরমপুর শহরের বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে বেড়ান তাপস। শহরের একটি এলাকা থেকে মদ কিনে ফের মদের আসরে বসেছিলেন তিনি। সেই আসরে ছিল ধৃত যুবক এবং মূল অভিযুক্ত। ওই মদের আসরেই তাপসের উপর চড়াও হয় সেই যুবক। নিজের মাছ কাটার বঁটি দিয়ে কুপিয়ে নৃশংসভাবে খুন করা হয়। রাত আড়াইটে নাগাদ শহরের পঞ্চাননতলায় জেলা পরিষদ ভবনের সামনে এই ঘটনাটি ঘটে। ঘটনার পর থেকে পলাতক মূল অভিযুক্ত।
দেহ ময়নাতদন্তের পর পুলিস জানতে পেরেছে, ওই যুবকের গায়ে একাধিক বঁটির কোপের চিহ্ন রয়েছে। মূলত, গলায় ও হাতে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপানো হয়। মধ্যরাতে এই ঘটনার পর দীর্ঘক্ষণ ধরে পড়ে ছিলেন তাপস। তাই রক্তক্ষরণের জেরে তাঁর মৃত্যু হয়। বুধবার ভোরে স্থানীয়রাই প্রথমে রাস্তায় ওই যুবকের ক্ষতবিক্ষত দেহ পড়ে থাকতে দেখে পুলিসে খবর দেন। ঘটনাস্থলে পৌঁছায় বহরমপুর থানার পুলিস। দ্রুত দেহ উদ্ধার করে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
তবে পুলিসের অনুমান, এই খুনের ঘটনার পিছনে টাকা সংক্রান্ত বিবাদ রয়েছে। মৃত তাপসের বেশ কিছু ধার দেনা ছিল বাজারে। পুলিস জানতে পেরেছে, মূল অভিযুক্ত ওই মাছ ব্যবসায়ীর কাছ থেকেও টাকা ধার নিয়েছিল তাপস। ওই রাতে মদের আসরে সেই টাকা চাওয়া নিয়ে বিবাদ শুরু হয়। তীব্র বচসার পর নিজের মাছ কাটার বঁটি দিয়েই তাপসকে এলোপাথাড়ি কোপাতে থাকে অভিযুক্ত। সেই সময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিল ধৃত টোটো চালক। তার দেহের বিভিন্ন অংশ এবং জামা প্যান্ট থেকে মৃত যুবকের রক্তের নমুনা পাওয়া গিয়েছে। তাকে গ্রেপ্তার করে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিস।