হস্তশিল্পীরা বিশেষ স্বীকৃতি ও সুনাম পেতে পারেন। পারিবারিক ক্ষেত্রে চাপ। ব্যয় কিঞ্চিৎ বাড়তে পারে। ... বিশদ
ক’দিন আগে সিউড়ি-২ ব্লকের কেন্দুয়া পঞ্চায়েতের মণপুর গ্রামে ঢুকে আধিকারিকরা তাজ্জব হয়ে যান। দেখা যায়, কোনও অনুমতি ছাড়াই চলছে ২১টি এসি। এর জন্য কোনও বাড়তি বিদ্যুৎ ‘লোড’ নেওয়া হয়নি। অন্য কয়েকটি গ্রামেও এমন বেআইনি কাজ চলছে। এর মধ্যে সবথেকে বেশি অভিযোগ আসছে মহম্মদবাজার ব্লকের তিনটি এলাকা থেকে। এগুলি হল ভারকাটা, দিগলগ্রাম ও সোঁতশাল। ওই এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ ঠিক রাখতে হিমশিম খাচ্ছে গোটা দপ্তর। প্রত্যেকের বাড়িতেই বিনা অনুমতিতে এসি চলছে। সেই সঙ্গে ইলেকট্রিক হিটার, কুকারের ব্যবহার হচ্ছে।
এছাড়াও সিউড়ি-১ ব্লকের কুখুডিহি, ধল্লা, করিমপুর গ্রাম থেকে প্রচুর অভিযোগ সামনে আসছে। লোড না বাড়িয়েই এসি চলছে দেদার। সেই সঙ্গে হুকিংও রয়েছে। এইসব গ্রামে একের পর এক বাড়িতে টোটো চার্জ দেওয়া হচ্ছে। ফলে রাত হলেই লো ভোল্টেজ হয়ে যাচ্ছে গোটা গ্রামে। একই ঘটনা সিউড়ির শ্রীহরিপল্লি এলাকাতেও। রাত ১১টার পরই সেখানে লো ভোল্টেজ হয়ে যাচ্ছে। দপ্তরের এক আধিকারিক এক অভিজ্ঞতার কথা শোনাচ্ছিলেন। তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার সিউড়ি-২ ব্লকের অবিনাশপুরে একটি এলাকায় ভিজিটে গিয়েছিলাম। সেখানে একজনের বাড়িতে খোঁজখবর নিতে গিয়ে দেখি, মিটার বাক্স থেকে বেআইনিভাবে হুকিং করে এসি চলছে। তারপর সংশ্লিষ্ট পাড়ুই থানাতে মামলা করা হয়। এমন ঘটনা প্রতিদিনের। সব থেকে সমস্যা হচ্ছে কোথাও ট্রান্সফরমার পুড়ে গেলে নতুন করে ট্রান্সফরমার বসাতে যাচ্ছি। তখন বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে। কেউ বলছেন, তাঁদের বাড়ির পাশ দিয়ে বিদ্যুৎ লাইন নিয়ে যেতে দেব না, ট্রান্সফরমার বসাতে দেব না। অনেক জায়গাতেই সহযোগিতা পাচ্ছি না। সিউড়ির মল্লিকগুনা বাইপাসে জায়গা না দেওয়ার জন্য এক মাস ধরে কোনও নতুন করে ট্রান্সফরমার বসানো যায়নি। আমার এলাকার মধ্যে গত এক মাসে ১২টি ট্রান্সফরমার পুড়ে গেছে অতিরিক্ত লোডের কারণে। বিদ্যুৎ বিভাগের রিজিওনাল ম্যানেজার প্রিয়ব্রত খামারু বলেন, এই কারণে আমরা এবার ঠিক করেছি, কড়া আইনি ব্যবস্থার পথে হাঁটব। আগে আবেদন করে তবেই এসি নিতে হবে।