হস্তশিল্পীরা বিশেষ স্বীকৃতি ও সুনাম পেতে পারেন। পারিবারিক ক্ষেত্রে চাপ। ব্যয় কিঞ্চিৎ বাড়তে পারে। ... বিশদ
রাস্তা, পানীয় জল, আলো প্রভৃতি পরিষেবার পাশাপাশি নবগ্রাম পঞ্চায়েত সমিতি বছর দুয়েক আগে বৃদ্ধাশ্রম তৈরির উদ্যোগ নেয়। পলশন্ডা দক্ষিণগ্রাম মৌজায় সরকারি ১২ বিঘা জমিতে বয়স্ক পুরুষ ও মহিলাদের থাকার জন্য ভবনের পাশাপাশি সাজানো গোছানো পার্ক, সকাল সন্ধ্যায় হাঁটার জন্য ওয়াকিং ট্র্যাক গড়ে তোলা হচ্ছে। এখানে থাকার জন্য কোনও খরচ লাগবে না। রাজ্য সরকার ও পঞ্চায়েত সমিতি ব্যয় বহন করবে। তবে এই বৃদ্ধাশ্রমে অসহায়, দরিদ্র পরিবারের বয়স্করাই অগ্রাধিকার পাবেন। সেক্ষেত্রে সমস্ত তথ্য যাচাই করা হবে। ইতিমধ্যে নবগ্রাম ব্লকে বিভিন্ন অঞ্চলে বৃদ্ধাশ্রমের উপযুক্ত আবাসিক চিহ্নিত করার কাজ শুরু হয়েছে। পঞ্চায়েত সমিতির এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন ব্লকের আপামর মানুষ। পাঁচগ্রামের বাসিন্দা অলোক কুণ্ডু বলেন, অনেক দুঃস্থ পরিবারের বয়স্ক সদস্যরা সংসারের বোঝা হয়ে ওঠেন। আর্থিক অনটনের জন্য দু’ বেলা ঠিকমতো খেতে পান না। জোটে না চিকিৎসা। বৃদ্ধাশ্রমে ঠাঁই পেলে বাকি জীবনটা নিশ্চিন্তে কাটবে। নবগ্রাম পঞ্চায়েত সমিতির সহ সভাপতি মহম্মদ এনায়েতুল্লা বলেন, এখানে আবাসিকদের জন্য শুধু তিনবেলা খাওয়াদাওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে তাই নয়, স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য চিকিৎসক থাকবেন। হাঁটার জন্য ওয়াকিং ট্র্যাক থাকবে। বসে গল্পগুজব করার জন্য সবুজ পার্ক থাকবে। লাইব্রেরি থাকবে। বিনোদনের জন্য টিভি থাকবে। আবাসিকরা নিজেদের পছন্দের অনুষ্ঠান দেখার সুযোগ পাবেন। হেয়ার কাটিং, জামাকাপড় সেলাই, নিয়মিত পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার জন্য লোক নিযুক্ত থাকবে। ফলে একদিকে যেমন বয়স্ক মানুষগুলি একটা নিশ্চিন্ত জীবন পাবেন, ঠিক তেমনি বেশ কিছু মানুষের কর্মসংস্থান হবে।