হস্তশিল্পীরা বিশেষ স্বীকৃতি ও সুনাম পেতে পারেন। পারিবারিক ক্ষেত্রে চাপ। ব্যয় কিঞ্চিৎ বাড়তে পারে। ... বিশদ
জেলাশাসক বিধান রায় বলেন, সাপের আতঙ্কের কথা আগে শুনেছিলাম। বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখছি। অন্যায়ভাবে কোনও মানুষকেই ঘোরানো যাবে না। জানা গিয়েছে, এর আগে বেশ কয়েকবার সাপ তাড়ানোর জন্য রেকর্ড অফিস বন্ধ রাখা হয়েছিল। কোভিড সময়কালে পুরো অফিসটিই প্রায় আড়াই মাস বন্ধ ছিল। সে সময়ে অনেকেই অসুবিধায় পড়েছিলেন। মূলত, জেলার নানা প্রান্তের বিভিন্ন জমি সংক্রান্ত নথিপত্র এখানে মজুত থাকে। জমির রেজিস্ট্রেশনও হয় এখানেই। অনেকেই নতুন করে জমি কেনার আগে সম্পত্তিটির অবস্থা জানতে রেকর্ড অর্থাৎ দলিল দেখতে চান। কেউ আবার ডুপ্লিকেট নথিরও আবেদন করেন। কারও দলিল হারিয়ে গেলে, দলিল পেতে যোগাযোগ করেন। আর তা করতে গিয়ে জুতোর সুখতলা ক্ষয়ে যায় বলে অভিযোগ। কারও আবেদনের পর ৬ মাস লাগে, তো কারও ১ বছরেও কাজ হয় না। সরাসরি আধিকারিকদের কাছে গেলে বলা হয়, ভেতরে গোখরো সাপ রয়েছে প্রচুর। তাই এখন রেকর্ড রুমে ঢোকা সম্ভব নয়। সময় লাগবে, পরে আসুন। এরপরই কাজ হাশিল করতে মানুষ বাধ্য হয়ে কোনও দালালের কাছে যান। তাদেরই কেউ আবার মহুরির কাজ করেন। এর জন্য শুরুতেই কিছু টাকা দিতে হয়। তারপর আরও দেরি করা হয়। হচ্ছে, হবে করে আরও কয়েকধাপে কিছু টাকা নেওয়া হয়। এমন অভিজ্ঞতার কথা সিউড়ির ওই চত্বরে গেলে নানাজনের মুখে শোনা যাচ্ছে। রাজনগরেরই এক বাসিন্দা সেই অভিজ্ঞতার কথা বলছিলেন। নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক ওই বাসিন্দা বলেন, এই অফিসটাও ঘুঘুর বাসা। তবে বাইরে থেকে কিছু আন্দাজ করা যাবে না। কয়েকবার এদিক ওদিক ঘুরলে তবেই বোঝা যাবে কীভাবে চলে টাকা তোলার কাজ। গত ৬ মাস ধরে আমি একটা জায়গার দলিল চেয়েছি। কিন্তু সাপ আছে বলে কেউ রেকর্ড রুমে ঢুকছে না। একজন বের করে দেবে বলেছে। সেও কিছু টাকা নিল। এসব দলিল তো অনলাইনে পাওয়ার ব্যবস্থা নেই। ফলে এদের মুখাপেক্ষী হয়ে বসে থাকতে হয়। সবথেকে ভালো হয়, যদি রেকর্ড রুমটা অন্য কোথাও নিয়ে চলে যায়। তাহলে সাপের বাহানা দিয়ে বছরের পর বছর মানুষকে হয়রান করতে পারে না। অন্য কোনও জেলায় এরকম সাপের কারণে মানুষজন রেকর্ড পাচ্ছে না এটা শোনা যায়নি। প্রশাসনের উচ্চমহলের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। অন্যদিকে, এই অফিস চত্বরের যানজট নিয়েও এলাকার মানুষের প্রশ্ন রয়েছে। যত বাইক এই অফিসের সামনেই রাখা হয়। এতে মানুষ হেঁটেও যেতে পারেনা। কবে প্রশাসনের টনক নড়ে কবে এখন সেটাই দেখার।