হস্তশিল্পীরা বিশেষ স্বীকৃতি ও সুনাম পেতে পারেন। পারিবারিক ক্ষেত্রে চাপ। ব্যয় কিঞ্চিৎ বাড়তে পারে। ... বিশদ
ইসলামপুর থানার বেকিবাগান পুলিস ক্যাম্পের বিপরীতে রাস্তার পাশেই অবস্থিত ওই স্বাস্থ্যকেন্দ্র। হুড়শি অঞ্চল ছাড়াও আশেপাশের লোচনপুর, দেবাইপুর, দুর্গাপুর পমাইপুর সহ বিস্তীর্ণ এলাকার মানুষের প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য ভরসা ওই হাসপাতাল। হাসপাতালের অন্তর্বিভাগের ব্যবস্থা নেই। শুধু বহির্বিভাগ চালু রয়েছে। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, শুধুমাত্র বহির্বিভাগেই প্রতিদিন গড়ে ২৫০ থেকে ৩০০ জন রোগীর আনাগোনা হয়। প্রতিবছরের হিসেবে সংখ্যাটা দাঁড়ায় সাড়ে সাত থেকে প্রায় ৮ হাজারের আশেপাশে। অথচ এত রোগী সামাল দিতে হয় একজন চিকিৎসকেই। তিনিই আবার ওই হাসপাতালের মেডিক্যাল ইন চার্জ। নিজের প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র ছাড়াও ওই ব্লকেরই প্রধান স্বাস্থ্যকেন্দ্র অর্থাৎ ইসলামপুর গ্রামীণ হাসপাতালে সপ্তাহে দু’দিন ডিউটি করতে হয় তাঁকে। হাসপাতালের ওই অবস্থার কারণে মাস সাতেক আগে স্বাস্থ্যদপ্তর থেকে এক মহিলা চিকিৎসককে পাঠানো হলেও, কতৃপক্ষের নির্দেশে তাঁকে সপ্তাহের সবক’টি দিনই ইসলামপুর গ্রামীণ হাসপাতালেই ডিউটি করতে হয়। ব্লক স্বাস্থ্যদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, রানিনগর ১ ব্লকের ইসলামপুর গ্রামীণ হাসপাতালে পর্যাপ্ত সংখ্যক চিকিৎসক নেই। গ্রামীণ হাসপাতাল হওয়ায় সেখানে ব্লকের সবক’টি প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র থেকে প্রচুর রোগীর আনাগোনা হয়। পাশাপাশি ওই হাসপাতালে অন্তর্বিভাগও চালু রয়েছে। কাজেই এত রোগী সামলানোর জন্য পর্যাপ্ত চিকিৎসক না থাকায় নির্দিষ্ট প্রটোকলের ভিত্তিতে আশপাশের প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের চিকিৎসকদের নিয়ে এসে সেখানে ডিউটি করানো হয়। আর এই কারণেই আশেপাশের প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলিতে চিকিৎসকের এই সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে।
এটা তো গেল চিকিৎসকের কথা! কিন্তু যে বিষয়টি সবথেকে উদ্বেগের, তা হল হুড়শি প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে কোনও জিডিএ বা জেনারেল ডিউটি আসিস্ট্যান্ট নেই। জিডিএ’র কাজ হল চিকিৎসক ও নার্সের সহকারী হিসেবে চিকিৎসায় সহায়তা করা, ব্যান্ডেজ, ড্রেসিং করতে সহায়তা করা। একজনও জিডিএ না থাকায় হাসপাতালের একজন অস্থায়ী সাফাইকর্মীকে দিয়ে ওই কাজ করানো হয়। তাকেই হাসপাতালের চারপাশ পরিচর্যার পাশাপাশি রোগীদের ব্যান্ডেজ, ড্রেসিং করা সহ একাধিক কাজ করা হয়। কিন্তু একজন নন মেডিক্যাল স্টাফকে দিয়ে এই ধরনের কাজ করানোর বিষয়টি বেশ উদ্বেগের।
এলাকার এক শিক্ষক বলেন, ওই প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে একজন মাত্র চিকিৎসক রয়েছেন। একা হাতে সবকিছু সামলাতে তাঁকে হিমশিম খেতে হয়। তবে হাসপাতালে জিডিএ’র জায়গায় একজন অস্থায়ী সাফাইকর্মীকে দিয়ে কাজ করানোর বিষয়টি ভীষণ উদ্বেগের। আমরা চাই স্বাস্থ্যদপ্তর দ্রুত এই সমস্যার সমাধান করুক। আশেপাশের প্রচুর মানুষ ওই হাসপাতালের ওপরে নির্ভরশীল।
সবকিছু মেনে নিয়ে হাসপাতালের মেডিক্যাল ইন চার্জ ডাক্তার সেতাবুদ্দিন আহমেদ বলেন, আমাদের গ্রামীণ হাসপাতালে চিকিৎসকের অভাব রয়েছে। এই কারণে এই হাসপাতালের একজন মহিলা চিকিৎসকে ওখানেই ডিউটি করতে হয়। আবার আমাকেও সপ্তাহে ওখানে একদিন-দু’দিন ডিউটি করতে হয়। হাসপাতালে জিডিএ নেই। একজন অস্থায়ী সাফাইকর্মীকেই আমরা দেখিয়ে দিয়ে কিছুটা কাজ করিয়ে নিই। পুরো বিষয়টি আমার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি।