হস্তশিল্পীরা বিশেষ স্বীকৃতি ও সুনাম পেতে পারেন। পারিবারিক ক্ষেত্রে চাপ। ব্যয় কিঞ্চিৎ বাড়তে পারে। ... বিশদ
এদিন সকাল ন’টা থেকে শ্রীনিকেতন রোডে জবরদখল হটাতে অভিযানে নামেন পুরসভার কর্মী ও আধিকারিকরা। এর জন্য ব্যবহৃত হয় দু’টি বুলডোজার। এদিনের অভিযানে বিভিন্ন ওয়ার্ড কাউন্সিলাররাও উপস্থিত ছিলেন। যদিও এড়ানো যায়নি অশান্তি। বোলপুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় সংলগ্ন শ্রীনিকেতন রোডের ক্ষুব্ধ চায়ের দোকানের মালিক কমলি গুপ্ত ও ফাস্টফুডের দোকান মালিক রাজু দাস বলেন, বুধবার রাত ন’টায় মাইকিং করে এই অভিযানের কথা জানানো হয়েছে। ন্যূনতম ২৪ ঘণ্টা সময় দেওয়া হয়নি। বুলডোজার দিয়ে দোকান ভেঙে দেওয়ায় আমরা কোনও জিনিসই বার করতে পারিনি। এই ক্ষতিপূরণ কে দেবে? এমনকী জবরদখলভাবে থাকা দোকান ভাঙার পাশাপাশি বেশ কিছু বাড়ির সীমানার পাঁচিলও ভেঙে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। দেবেন্দ্রগঞ্জের বাসিন্দা অসীমকুমার ঘোষ ও প্রাণতোষ পালের অভিযোগ, পৈতৃক সম্পত্তির সীমানার পাঁচিল দেওয়া সত্ত্বেও এদিন তা ভেঙে দেওয়া হয়েছে। এটা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক।
যদিও পুরসভার চেয়ারম্যান এ বিষয়ে বলেন যদি কারও ব্যক্তিগত সীমানার অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয় পুরসভার ইঞ্জিনিয়ার বিভাগ মাপজোক করে ক্ষতিপূরণ করে দেবে। পুরসভার সূত্রে জানা গিয়েছে, মূলত এই অভিযান চলবে শহরজুড়ে। তার মধ্যে চৌরাস্তা থেকে শ্রীনিকেতন, শান্তিনিকেতন রোড হয়ে শ্যামবাটি মোড়, গোয়ালপাড়া, সোনাঝুরি, কোপাই নদী পর্যন্ত এই অভিযান চলবে। সেক্ষেত্রে কোথাও যদি রিসর্ট, শপিংমল এমনকী, তৃণমূল কার্যালয় থাকলেও তা ভেঙে ফেলা হবে। এছাড়া, শ্যামবাটি মোড় থেকে প্রান্তিক স্টেশন, চৌরাস্তা থেকে নিচুপট্টি হয়ে আরতি মোড়, চৌরাস্তা থেকে ত্রিশুলাপট্টি হয়ে লায়েকবাজার এই অভিযানের আওতায় আসবে। এমনকী, চৌরাস্তা থেকে হাটতলা সংলগ্ন ফুটপাত, কাছারিপট্টি, কাশিমবাজারও এই তালিকায় রয়েছে। এছাড়া বাঁধগোড়া রবীন্দ্রবীথি বাইপাস মোড় থেকে কাশীপুর, চিত্রা মোড় থেকে দর্জিপট্টি-মকরমপুর, টুরিস্ট লজের মোড় থেকে প্রভাত সরণি হয়ে জামবুনি পুরসভার অন্তর্গত সব এলাকাতেই এই অভিযান চলবে। অভিযানের পরপরই জবরদখল ঠেকাতে পেভার ব্লক বসিয়ে রাস্তার কাজ সম্পূর্ণ করা হবে বলে চেয়ারম্যান জানিয়েছেন।