হস্তশিল্পীরা বিশেষ স্বীকৃতি ও সুনাম পেতে পারেন। পারিবারিক ক্ষেত্রে চাপ। ব্যয় কিঞ্চিৎ বাড়তে পারে। ... বিশদ
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বেলগড়িয়া-২ পঞ্চায়েতের গবারচর পশ্চিমপাড়ায় বিজেপির বুথ সভাপতি নয়ন বিশ্বাসের বাড়ি। অভিযোগ, পঞ্চায়েতের কয়েকজন বিজেপি সদস্যের মদতে বিগত বেশ কয়েক মাস ধরে তাঁর বাড়িতে মদ, গাঁজা, এমনকী হেরোইনও বিক্রি হচ্ছিল। সন্ধ্যা নামলেই পাশের একটি মাঠে নেশা করছে গ্রামের যুবকদের একাংশ। শান্তিপুর থানার তরফে একাধিকবার ওই এলাকায় অভিযান চালানো হলেও নেশার সামগ্রী বিক্রি বন্ধ হয়নি। মঙ্গলবারও সন্ধ্যার পর বিজেপির ওই বুথ সভাপতির বাড়িতে নেশার আসর বসেছিল। বেলগড়িয়া-২ পঞ্চায়েতের তৃণমূল সদস্য প্রাণ বিশ্বাসকে গ্রামের অতিষ্ঠ মহিলারা অভিযোগ করায় তিনি বিজেপির বুথ সভাপতির বাড়িতে পৌঁছে যান। সেখানে গিয়ে তিনি নেশার আসর বন্ধ করতে বলেন। অভিযোগ, এরপরেই কয়েকজন দুষ্কৃতীকে নিয়ে প্রাণবাবুর উপর চড়াও হয় বিজেপির ওই বুথ সভাপতি। লোহার রড দিয়ে তাঁকে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। কোনও রকমে দৌড়ে পালিয়ে যাওয়ায় প্রাণবাবুর প্রাণ বাঁচে। শান্তিপুর স্টেট জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা করিয়ে তিনি থানায় গিয়ে বিজেপির বুথ সভাপতি সহ তিন জনের নামে লিখিত অভিযোগ করেন। রাতেই অভিযুক্ত বুথ সভাপতি নয়ন বিশ্বাস ও বিজেপির কর্মী সমীর রায়কে পুলিস গ্রেপ্তার করে। আক্রান্ত তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য প্রাণবাবু বলেন, গ্রামে নেশার কারবার চলছে। বিজেপির বুথ সভাপতি আগে নিজের বাড়ি থেকে নেশার সামগ্রী বিক্রি করত। এখন সন্ধ্যার পর সেখানেই আসর বসছে। যুবসমাজ বিপথে যাওয়ার পাশাপাশি এলাকার মহিলাদের নিরাপত্তা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। আমি প্রতিবাদ করায় আমাকে মারধর করা হয়।
বেলগড়িয়া-২ পঞ্চায়েতের বিজেপি সদস্য গৌরাঙ্গ বিশ্বাস বলেন, এলাকায় পানীয় জলের কল বসানোকে কেন্দ্র করে মূলত অশান্তি শুরু হয়েছিল। তবে, মঙ্গলবার রাতে যে ঘটনা ঘটেছে, সেটা কাম্য নয়। আমরা দলের শীর্ষ নেতৃত্বকে বিষয়টি জানিয়েছি। শান্তিপুর ব্লক-এ তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক কৃষ্ণপদ রাহা বলেন, বিজেপি নেতার বাড়িতে নেশার কারবার চলছে এটা ওদের দলীয় নেতৃত্বও জানে। দলের তরফে এই ধরনের ঘটনাকে প্রশ্রয় দেওয়া হচ্ছে। বিজেপি গ্রামের পরিবেশ নষ্ট করে ফেলছে। এটা কোনওভাবেই মেনে নেওয়া যায় না।