হস্তশিল্পীরা বিশেষ স্বীকৃতি ও সুনাম পেতে পারেন। পারিবারিক ক্ষেত্রে চাপ। ব্যয় কিঞ্চিৎ বাড়তে পারে। ... বিশদ
বিষ্ণুপুর পুরসভার স্যানিটারি ইন্সপেক্টর তুহিন শুভ্র কুণ্ডু বলেন, লালবাঁধের পাড়ে দিদির হেঁসেল নামে পুরসভা অনুমোদিত তিনটি দোকান রয়েছে। সেগুলি স্বনির্ভর গোষ্ঠীকে চালাতে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু, তারপরেও একের পর এক অস্থায়ী দোকান গজিয়ে উঠেছে। এনিয়ে আমরা আগেই একবার নোটিস করেছি। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের পর এবার তা কার্যকর করতে উদ্যোগী হয়েছি। এদিন দোকানদারদের সরে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। না হলে আইনানুগ পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
স্থানীয় এক দোকানদার বাচ্চু কাপড়ি বলেন, রাস্তার ধারে ফাঁকা জায়গায় আমাদের অস্থায়ী দোকান রয়েছে। সেখান থেকেই যা উপার্জন হয়, তা দিয়ে সংসার চলে। আমরা চাই পুরসভা দোকান পিছু ফি আদায় করে বসার অনুমতি দিক। এব্যাপারে আমরা পুরসভায় লিখিত আবেদন করব।
প্রসঙ্গত, মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের পরই রাজ্যের প্রায় সমস্ত পুরসভা জবরদখলমুক্ত করার উদ্যোগ নিয়েছে। বিষ্ণুপুরেও এনিয়ে অভিযান চলছে। পুরসভার আধিকারিকরা জানিয়েছেন, আগে লালবাঁধ এলাকাটি কার্যত পরিত্যক্ত ছিল। দিনের বেলাতেও মানুষজন যেতে ভয় পেত। কয়েক বছর আগে রাজ্য সরকারের উদ্যোগে লালবাঁধ সংস্কার করা হয়। বাঁধের পাড়ের সৌন্দর্যায়ন করা হয়। পাড়ে পাকা রাস্তাও করা হয়। সেখানে পুরসভার তরফে তিনটি খাবারের স্টল করে দেওয়া হয়েছে। স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সদস্যরা তা চালান। তারপর থেকেই বাঁধের পাড়ে মানুষজনের যাতায়াত বাড়ে। পর্যটকরা ভিড় জমান। ধীরে ধীরে জবরদখলও বাড়তে শুরু করে। ইতিমধ্যে প্রায় ১০টি অবৈধ দোকান বসেছে। আরও কয়েকটি দোকান বসানোর তোড়জোড় চলছে। এই অবস্থায় বাঁধের পাড়ে অযথা আড্ডা ক্রমশ বাড়তে থাকায় রাতের দিকে অসামাজিক কাজেরও অভিযোগ আসছে। প্রশাসনের তরফে অবৈধ দোকানগুলিকে একবছর আগেই উঠে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু, কোনও কারণে তা কার্যকর হয়নি। সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের পরেই পুরসভা কর্তৃপক্ষ নড়েচড়ে বসে। বুধবার দোকানদারদের সরে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়।