হস্তশিল্পীরা বিশেষ স্বীকৃতি ও সুনাম পেতে পারেন। পারিবারিক ক্ষেত্রে চাপ। ব্যয় কিঞ্চিৎ বাড়তে পারে। ... বিশদ
গলসির চাষি সুমন্ত বৈদ্য বলেন, বর্ষার সময় সাবমার্সিবলের জলে চাষ করতে হলে লাভ হবে না। চাষিদের আর্থিক অবস্থা এমনিতেই খারাপ। এভাবে চলতে থাকলে পথে বসতে হবে। অধিকাংশ জায়গাতেই বীজতলা তৈরি হয়ে রয়েছে। একবার বৃষ্টি নামলেই বীজ বেঁচে যাবে। আউশগ্রামের চাষি আমন শেখ বলেন, আমাদের এলাকায় সাবমার্সিবলের সুবিধা নেই। বৃষ্টি না হলে চাষ হবে না। দু’বছর আগেও জলের অভাবে বেশ কিছু জমি ফাঁকা পড়েছিল। অনেকের বীজতলা নষ্ট হয়ে গিয়েছে। জলের অভাবে বীজ বড় হচ্ছে না। পুকুর বা খালের কাছে সবার জমি নেই। খুব কম জমির বীজ ভালো অবস্থায় রয়েছে।
পূর্ব বর্ধমান জেলা পরিষদের কৃষি কর্মাধ্যক্ষ মেহেবুব মণ্ডল বলেন, এই সময় বৃষ্টির খুব দরকার। বীজতলা বাঁচানো না গেলে চাষিরা সমস্যায় পড়বেন। বীজ কিনে আবার নতুন করে চাষ করতে হবে। কৃষিদপ্তরের এক আধিকারিক বলেন, আগস্ট মাসের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত ধান রোপণ করা যায়। তারপর হলে ফলন কমে যায়। বীজতলা বাঁচানো না গেলে চাষ পিছিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। তাই চাষিদের এখনই আতঙ্কিত হওয়ার কারণ নেই।
দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, চড়া রোদের জন্য সব্জি জমিও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। ফলন কমে গিয়েছে। সেই কারণে সমস্ত সব্জির দাম বেড়ে গিয়েছে। বাজারে গিয়ে মধ্যবিত্তদের কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে। ধান চাষ ধাক্কা খেলে পরিস্থিতি আরও জটিল হবে।