ব্যবসা ভালো হবে। কেনাবেচা ক্রমশ বাড়বে। অর্থাগম ভাগ্য আজ অনুকূল। দেহে দুর্বলতা। ... বিশদ
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, ট্রাফিক আইন ভাঙলে এখন পুলিস বাইক দাঁড় করিয়ে জরিমানা আদায় করার পথে খুব একটা হাঁটে না। বাইকের নম্বরপ্লেটের ছবি তুলে পাঠিয়ে দেয়। ট্রাফিক আইন ভঙ্গকারীদের পরে জরিমানার টাকা জমা করতে হয়। কিন্তু আইনের ফাঁক খুঁজে বের করেছেন রোমিও-জুলিয়েটরা। কোথাও সিভিক ভলান্টিয়ার দাঁড়িয়ে আছে দেখলেই বাইকের পিছনে বসে থাকা যুবতীরা নম্বরপ্লেট ওড়না দিয়ে ঢেকে ফেলছেন। এক পুলিস আধিকারিক বলেন, বেশ কিছুদিন ধরেই বর্ধমান শহরে এই প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। বাইক দাঁড় করিয়ে জরিমানা আদায় করলে অনেকে অসন্তুষ্ট হয়। কেউ কেউ আবার প্রভাবশালীদের দিয়ে ফোন করিয়ে রক্ষা পেয়ে যায়। কিন্তু ছবি তুলে মেসেজ পাঠালে সেই সুযোগ থাকে না। অনেক বুদ্ধি করে অল্পবয়সিরা নম্বরপ্লেট ঢাকার কৌশল নিয়েছে। তবে এই ফন্দি বেশিদিন খাটবে না।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, সন্ধ্যার পর অল্পবয়সিদের ঠিকানা হয়ে উঠেছে শহরের গোলাপবাগ ও উল্লাস। এই দুই রাস্তার একাধিক জায়গাতেই ট্রাফিক পোস্ট রয়েছে। কেউ আইন ভাঙলেই মেসেজ করে নোটিস পাঠানো হয়। কিন্তু যুবক-যুবতীরা সুকৌশলে ধোঁকা দিচ্ছে। বর্ধমান শহরের বাসিন্দারা বলেন, সন্ধ্যার পর বেপরোয়াভাবে অনেকেই বাইক বা স্কুটি চালায়। কেউ কেউ আবার বাইকে বিকট আওয়াজ করে নজর টানার চেষ্টা করে। তাদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া দরকার। তা না হলে তারা আরও বেপরোয়া হয়ে উঠবে। উল্লাস এলাকার এক বাসিন্দা বলেন, অনেক সময় পুলিস বাইক দাঁড় করিয়ে চেক করে। অল্পবয়সিরা দূর থেকে দেখে গাড়ি অন্যদিকে ঘুরিয়ে নেয়। নম্বরপ্লেটের ছবি তুলে তাদের শায়েস্তা করা যাবে না। কোন কোন জায়গায় পুলিসকর্মীরা বাইকের ছবি তোলে সেটা তাদের জানা। ওই জায়গা আসার আগেই বাইকের পিছনে বসে থাকা যুবতী নম্বরপ্লেটে ওড়না নামিয়ে দেয়। কিছুটা যাওয়ার পর আবার তা তুলে নেয়। ফলে পুলিসের জরিমানা থেকে রক্ষা পেয়ে যাচ্ছে প্রেমিক। এভাবেই কি দিচ্ছে ভবিষ্যতে পাশে থাকার আশ্বাস!