নিজস্ব প্রতিনিধি, জলপাইগুড়ি: গত বছর ৭৫ হাজার চাষিকে বাংলা শস্যবিমা যোজনার আওতায় আনা গিয়েছিল। এবার লক্ষ্যমাত্রা এক লক্ষ চাষিকে বিমার আওতায় আনার। কিন্তু কাজে যা গতি, তাতে টার্গেট পূরণ হওয়া তো দূরের কথা, লক্ষ্যমাত্রার ধারে কাছে পৌঁছনো সম্ভব হবে কি না, তা নিয়েই দেখা দিয়েছে ঘোর সংশয়। শুক্রবার জলপাইগুড়ি জেলাশাসকের দপ্তরে বৈঠকে এনিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়েন জেলার কৃষিকর্তা। বিষয়টি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন জলপাইগুড়ির জেলাশাসক শমা পারভীন। ৩০ সেপ্টেম্বর শস্যবিমায় নাম নথিভুক্তকরণের শেষদিন। সেই হিসেবে হাতে আর ১০ দিন সময়। অথচ এখনও পর্যন্ত গোটা জেলায় মাত্র ৩০ হাজার কৃষক বাংলা শস্যবিমা যোজনায় আবেদন করেছেন। টার্গেট অনুযায়ী বাকি রয়ে গিয়েছে ৭০ হাজার কৃষক। ১০ দিনে কীভাবে তাঁদের রেজিস্ট্রেশন করানো সম্ভব হবে তা নিয়ে বৈঠকে উপস্থিত উপ কৃষি অধিকর্তা গোপালচন্দ্র সাহার কাছে জানতে চান জেলাশাসক। জানিয়ে দেন, যেভাবেই হোক টার্গেট পূরণ করতে হবে। কৃষিদপ্তরের সমস্ত আধিকারিককে ময়দানে নামতে হবে। বোঝাতে হবে কৃষকদের। এ ব্যাপারে প্রচারে আরও জোর দিতে হবে। সেইসঙ্গে এদিন সিদ্ধান্ত হয়েছে, শস্যবিমায় রেজিস্ট্রেশনের সময়সীমা যাতে আরও সাত দিন বাড়ানো হয়, সেব্যাপারে রাজ্যের কাছে আবেদন জানাবে জেলা কৃষিদপ্তর।
জলপাইগুড়ির উপ কৃষি অধিকর্তা গোপালচন্দ্র সাহা বলেন, ‘আমাদের জেলায় ১ লক্ষ ১২ হাজার হেক্টর জমিতে এবার আমন চাষ হয়েছে। আমরা চাইছি গোটা জমির ফসলকেই শস্যবিমার আওতায় আনতে। সেকারণে ১ লক্ষ কৃষককে রেজিস্ট্রেশন করানোর লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। এখনও পর্যন্ত ৩০ হাজার কৃষককে রেজিস্ট্রেশন করানো হয়েছে। জেলাশাসকের নির্দেশমতো আমরা একাজে ঝাঁপাচ্ছি। পাশাপাশি রেজিস্ট্রেশনের সময় বৃদ্ধির জন্য রাজ্যের কাছে আবেদন জানানো হচ্ছে।
গত ১২ আগস্ট জলপাইগুড়িতে বাংলা শস্যবিমা যোজনার ট্যাবলো উদ্বোধন হয়। উদ্বোধন করেন খোদ জেলাশাসক। ঠিক হয়েছিল, ওই ট্যাবলো গোটা জেলায় ঘুরবে। সঙ্গে হাটে-বাজারে ক্যাম্প করে প্রচার চালাবে কৃষিদপ্তর। যদিও সেই প্রচারে ঘাটতির কারণেই এখনও পর্যন্ত বেশিরভাগ কৃষককে বাংলা শস্যবিমা যোজনার আওতায় আনা সম্ভব হয়নি বলে অভিযোগ।