ব্যবসা ভালো হবে। কেনাবেচা ক্রমশ বাড়বে। অর্থাগম ভাগ্য আজ অনুকূল। দেহে দুর্বলতা। ... বিশদ
শুক্রবার একাধিক বিষয় নিয়ে সংশ্লিষ্ট আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করেন জেলাশাসক। স্কুলগুলিতে রাজ্যের তরফে চালু হওয়া স্কলারশিপ প্রকল্প কেমন চলছে, তা নিয়ে তথ্য হাতে পেতেই রীতিমতো ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন ডিএম। দেখা যায়, জেলায় প্রায় ৫০০টি স্কুলে এখনও মেধাশ্রী স্কলারশিপ চালু হয়নি। একই হাল শিক্ষাশ্রী স্কলারশিপের ক্ষেত্রেও। এসসি, এসটি মিলিয়ে জেলায় শিক্ষাশ্রী প্রকল্প চালু হয়নি এমন স্কুলের সংখ্যা নেহাত কম নয়। বারবার বলার পরও কেন স্কুলগুলিতে এই স্কলারশিপ চালু হচ্ছে না তা নিয়ে বিদ্যালয় পরিদর্শক (মাধ্যমিক) বালিকা গোলের কাছে কৈফিয়ৎ তলব করেন জেলাশাসক। পাশাপাশি যে স্কুলগুলি এখনও পর্যন্ত স্কলারশিপ চালু করেনি, তাদের দ্রুত নোটিস ইস্যু করার নির্দেশ দেন তিনি। এব্যাপারে ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছে নোডাল অফিসারের কাছেও। তবে ফোনে বিষয়টি নিয়ে জানতে চাওয়া হলে বিদ্যালয় পরিদর্শক (মাধ্যমিক) বলেন, এনিয়ে কোনও মন্তব্য করব না।
বৈঠক শেষে জেলাশাসক বলেন, কিছু স্কুল অজুহাত দেখানোর চেষ্টা করছে এসসি, এসটি, ওবিসি ছাত্রছাত্রী পাওয়া যাচ্ছে না। এটা কি হতে পারে? একটা স্কুলে একজনও এসসি, এসটি, ওবিসি ছাত্রছাত্রী থাকবে না? কাজ না করার মানসিকতা থেকেই এসব অজুহাত দেখানো হচ্ছে। বিদ্যালয় পরিদর্শককে বিষয়টি নিয়ে তৎপর হওয়া উচিত ছিল। তাঁর কাছে কৈফিয়ত চাওয়া হয়েছে। মেধাশ্রী স্কলারশিপ রাজ্য সরকারের অনগ্রসর শ্রেণিকল্যাণ বিভাগের একটি প্রকল্প। যার মূল উদ্দেশ্য, ওবিসি সম্প্রদায়ের পঞ্চম থেকে অষ্টম শ্রেণির পড়ুয়াদের উৎসাহ ভাতা দেওয়া। বছরে ৮০০ টাকা করে পাবে তারা। কিন্তু স্কুল কর্তৃপক্ষ ও জেলা শিক্ষা বিভাগের গাফিলতিতে জলপাইগুড়ি জেলার প্রায় ৫০০ স্কুলে এখনও মেধাশ্রী স্কলারশিপ চালু হয়নি বলে প্রশাসন সূত্রে খবর। তফসিলি জাতি ও উপজাতি পরিবারের পড়ুয়াদের শিক্ষার মূলস্রোতে ধরে রাখতে শিক্ষাশ্রী স্কলারশিপ চালু করেছে রাজ্য। স্কুলে পড়াশোনার প্রায় পুরো খরচই সরকার বহন করে। তারপরও যদি কিছু অর্থের প্রয়োজন হয় সেজন্যই এই প্রকল্প। কিন্তু জলপাইগুড়িতে দেখা যাচ্ছে বহু স্কুল এখনও শিক্ষাশ্রী চালু করতে পারেনি।