হস্তশিল্পীরা বিশেষ স্বীকৃতি ও সুনাম পেতে পারেন। পারিবারিক ক্ষেত্রে চাপ। ব্যয় কিঞ্চিৎ বাড়তে পারে। ... বিশদ
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দু’দিন আগেই সরকারি জায়গা দখল হওয়া নিয়ে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। তারপরেও পুরসভা পদক্ষেপ না নেওয়ায় এবার মহকুমা শাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করল বিজেপি।
গেরুয়া শিবিরের অভিযোগ, রাতের অন্ধকারে কিংবা মাঝেমধ্যেই ওই জলাশয়ে ট্রাক্টরে করে আবর্জনা ও নির্মাণ সামগ্রী ফেলা হচ্ছে। চেয়ারম্যানের মদতেই এই জলাশয় ভরাট হচ্ছে বলে অভিযোগ বিজেপির। বিরোধীদের দাবি নস্যাৎ করে বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছে চেয়ারম্যান। ঘটনাটি খতিয়ে দেখবেন বলে জানিয়েছেন সদর মহকুমা শাসক সুব্রত কুমার বর্মনও।
অশোক মিত্র বলেন, বিজেপি নিজেদের দুর্নীতি ঢাকতে পুরসভার বিরুদ্ধে কুৎসা, অপপ্রচার করে থাকে। আমার কাছে এখনও এই ধরনের অভিযোগ বা তথ্য আমার কাছে আসেনি। বিজেপি যে জায়গার কথা বলছে, সেটি ব্যক্তিগত সম্পত্তি। পারিবারিক সমস্যা রয়েছে। জলাশয় বলতে সেখানে কিছু নেই। আর জলাশয় ভরাট করা হলে পুরসভা বরদাস্ত করে না। এর আগে আমার ওয়ার্ডে জলাশয় ভরাটের খবর এসেছিল। সেবার পুরসভা কড়া পদক্ষেপ নিয়েছিল। এবারও অভিযোগ খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, সেই জয়দেব পাল জলাশয় ভরাটের কথা স্বীকার করেছেন। কারও কাছে অনুমতি নেননি বলেও জানিয়েছেন তিনি। জয়দেবের মন্তব্য, শুধুমাত্র আমাদের রাস্তা করার জন্য ভরাট করেছি। রাস্তা না হলে যাতায়াত করা মুশকিল হবে। বালুরঘাট টাউন মণ্ডল সভাপতি সমীর প্রসাদ দত্তর অভিযোগ, চেয়ারম্যানের মদতেই তাঁর বাড়ির কাছে একটি খাঁড়ি ভরাট করা হচ্ছে। এর আগেও তাঁর বাড়ির কাছে আরেকটি খাঁড়ি বা পুকুর ভরাট করা হচ্ছিল। সেবার আন্দোলন হওয়ায় ভরাট করতে পারেনি। আমাদের মনে হয়, কাটমানি নিয়েই এই ভরাট চলছে। আমরা এসডিও’র কাছে অভিযোগ দায়ের করেছি।
পাঁচ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলরই পুরসভার চেয়ারম্যান। ওই ওয়ার্ডে রয়েছে একাধিক জলাভূমি ও জলাশয়। নানা সময়ে সেগুলি ভরাটের অভিযোগ আসে। ওয়ার্ডের একটি জলাভূমি ভরাটের অভিযোগ এসেছিল। চেয়ারম্যান ছুটে গিয়ে তখন বন্ধ করেছেন। পরবর্তীতে আর যাতে না হয়, সেই নির্দেশও তিনি দিয়েছিলেন। এবার ফের একই এলাকায় সন্তোষী মন্দিরের কাছে জলাভূমি ভরাটের অভিযোগ। ওই জমির চরিত্র জলাভূমি রয়েছে বলে প্রশাসন সূত্রে খবরষ। ফলে সেটি কোনওভাবেই ভরাট করা যায় না।ওই ওয়ার্ডের প্রাক্তন বাম কাউন্সিলর প্রলয় ঘোষ বলেন, আমার সময়কালে একাধিকবার ওই জলাশয়গুলি ভরাটের চেষ্টা হয়েছিল। কিন্তু সেটা হতে দিইনি। এখন কার মদতে ভরাট হচ্ছে, ঘটনাস্থলে গিয়ে জানার চেষ্টা করব। ব্যক্তিগত সম্পত্তি হলেও জলাশয় ভরাট করা উচিত নয়।