হস্তশিল্পীরা বিশেষ স্বীকৃতি ও সুনাম পেতে পারেন। পারিবারিক ক্ষেত্রে চাপ। ব্যয় কিঞ্চিৎ বাড়তে পারে। ... বিশদ
কামাখ্যা ধাম কমিটির তরফে জানানো হয়েছে, কোচবিহারের মহারাজা নৃপেন্দ্র নারায়ণ এই পুজোর সূচনা করেছিলেন। এক সময় এই এলাকায় জঙ্গল ছিল। সেসময় রাজা এখানে শিকার করতে এসেছিলেন। কথিত আছে, রাজার হাতি ডোবার মধ্যে আটকে যায়। কিছুতেই হাতিটি সেখান থেকে উঠছিল না। ফলে রাজা চিন্তায় পড়ে যান। সেই স্থানেই রাজার রাত্রিযাপনের ব্যবস্থা করা হয়। রাতে স্বপ্নে কামাখ্যা দেবীকে পান রাজা। এরপর সেখানে কামাখ্যাদেবীর পুজো করা হয়। পুজো দেওয়ার পরপরই হাতি ডোবা থেকে উঠে পড়ে। এই ঘটনার পর সবাই অবাক হয়ে যান। এরপর থেকে প্রতিবছর ওই স্থানে পুজো করা হয়। এক সময় কোচবিহারের রাজ পরিবারের তহবিল থেকে ওই পুজোর খরচ আসত। উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলা ছাড়াও অসম থেকেও বহু মানুষ এই পুজোতে আসেন। দেবীর প্রতি বিশ্বাস রেখে অনেকেই মানত করেন। ভক্তদের বিশ্বাস, এখানে মানত করলে দেবী মনস্কামনা পূরণ করেন। এই ধামের নাম অনুসারেই কামাখ্যাগুড়ি জনপদের নামকরণ হয়েছে।
এদিন কামাখ্যা ধামের বার্ষিক পুজোয় উপস্থিত হয়েছিলেন কুমারগ্রামের বিধায়ক মনোজকুমার ওরাওঁ। তিনি মন্দিরে পুজো দেন। বিধায়ক বলেন, শত ব্যস্ততার মাঝেও প্রতিবছর পুজোতে আসি। এবারও এসেছি। এই ধামের পরিকাঠামোগত উন্নয়নের বিষয়ে আগামীদিনে উদ্যোগ নেব। কামাখ্যা ধাম কমিটির সম্পাদক ধনঞ্জয় রাভা বলেন, পুজো উপলক্ষ্যে দু’দিন মেলা অনুষ্ঠিত হচ্ছে।