হস্তশিল্পীরা বিশেষ স্বীকৃতি ও সুনাম পেতে পারেন। পারিবারিক ক্ষেত্রে চাপ। ব্যয় কিঞ্চিৎ বাড়তে পারে। ... বিশদ
পাল্টা পদক্ষেপ হিসেবে সম্মিলিত প্রতিবাদে সরব হয় মহাজোট ‘ইন্ডিয়া’। স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধানের এমপি পদে শপথগ্রহণের সময় সম্মিলিত স্লোগান ওঠে— নিট... নিট... নিট... নেট... নেট... নেট। মোদি পোডিয়ামে উঠতেই দাঁড়িয়ে পড়েন রাহুল গান্ধী। হাতে লাল মলাটে বাঁধাই করা সংবিধানের কপি। একই কাজ করেন অন্যান্য বিরোধী এমপিরা। বিজেপি সাংসদদের ‘মোদি মোদি’ জয়ধ্বনি ছাপিয়ে শোনা যায় তাঁদের গলার আওয়াজ, ‘সংবিধান সংবিধান’।
সংসদে চত্বরে যেখানে মহাত্মা গান্ধীর মূর্তি ছিল, এদিন সকালে অধিবেশন শুরুর আগেই সেখানে জড়ো হন বিরোধী দলের সাংসদরা। নেতৃত্বে সোনিয়া গান্ধী। প্রত্যেকের হাতে ছিল সংবিধানের কপি। তৃণমূলের কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় আর কংগ্রেসের মানিকম টেগর তুললেন স্লোগান, ‘সংবিধান কৌন বাঁচায়েঙ্গে? হাম করেঙ্গে!’, ‘তানাশাহি নেহি চলেগি’। ক্ষমতার আসার ১৫ দিনের মধ্যেই এনডিএ সরকারের একের পর এক ব্যর্থতার তালিকা তুলে ধরেন রাহুল। বলেন, ‘ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনা, কাশ্মীরে সন্ত্রাসবাদী হামলা, নিট দুর্নীতি, প্রশ্ন ফাঁস, নেট-নিট পিজি পরীক্ষা বাতিল, মূল্যবৃদ্ধি, জলসঙ্কটের মতো ১০টি বিষয়ে বেসামাল অবস্থা। কিন্তু নরেন্দ্র মোদির সেসবে ভ্রুক্ষেপ নেই। মানসিকভাবে পঙ্গু প্রধানমন্ত্রী সরকার বাঁচাতে ব্যস্ত।’ কার্যত হুমকির সুরে রাহুল শুনিয়ে দেন, ‘নরেন্দ্র মোদি জবাব না দিয়ে পালাতে পারবেন না।’ সাধারণত সংসদের যে কোনও অধিবেশনের শুরুর দিনেই সেব্যাপারে বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রী। সেই রীতি বজায় রেখেই এদিন মোদি নিজের ভাষণে বিদ্ধ করেন বিরোধীদের। কংগ্রেসকে আক্রমণ করতে জরুরি অবস্থার প্রসঙ্গ টেনে আনেন। বলেন, ‘আগামী কাল ২৫ জুন কী কারণে কুখ্যাত সেটা সবাই জানে। সংবিধানকে ধ্বংস করার চেষ্টা হয়েছিল। আমরা এই তৃতীয়বার ক্ষমতায় এসে সেই সংবিধান রক্ষা করতে বদ্ধপরিকর।’ ১০ বছরের সংখ্যাগরিষ্ঠতার গর্বের লেশমাত্র ছিল না তাঁর গলায়। বরং দেশ চালাতে সর্বসম্মতির কথা বলেন তিনি।
যদিও বাস্তবে মোদি ও মন্ত্রিসভার সদস্যরা শপথগ্রহণের পর সৌজন্য বিনিময়ের জন্য বিরোধী বেঞ্চের দিকে যাননি। এর প্রতিবাদে সোচ্চার হন তৃণমূলের কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। বলেন, ‘অসৌজন্যের বাতাবরণ তৈরি করে দিলেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী। বিরোধীদের অগ্রাহ্য করলে কী হয়, টের পাবেন।’ এদিন রাহুলের সঙ্গেও তাঁকে কথা বলতে দেখা যায়। পরে জানা যায় কংগ্রেস নেতাকে তিনি বলেছেন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রস্তাবমতো বারাণসীতে যদি প্রিয়াঙ্কাকে দাঁড় করাতেন, তাহলে আজ আর মোদিকে এখানে দেখা যেত না।’ সহমত পোষণ করে রাহুলও বলেন, ‘ইয়ে বাত তো সচ হ্যায়।’