ব্যবসা ভালো হবে। কেনাবেচা ক্রমশ বাড়বে। অর্থাগম ভাগ্য আজ অনুকূল। দেহে দুর্বলতা। ... বিশদ
প্রশ্ন উঠতে পারে, তাঁদের ভূমিকা কী? নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক এক সূত্র জানিয়েছে, ফাঁস হওয়া প্রশ্নপত্রের দ্রুত উত্তর তৈরি করতে ওইসব মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীদেরই ব্যবহার করছে দুর্নীতিবাজরা। সদ্য সদ্য নিট পাশ করায় তারা প্রশ্নের ধরন সম্পর্কে পরিচিত। অত্যন্ত মেধাবী হওয়ায় কঠিন প্রশ্নপত্রও তাঁদের কাছে জলভাত। তাই দুর্নীতির অক্টোপাসে নিজেদের স্বার্থেই মেধাবীদের পাকড়াও করতে জোর দেওয়া হয়েছে। ওই সূত্র জানিয়েছে, আগে এই ধরনের কিছু ছাত্র-ছাত্রীকেই ভুয়ো পরীক্ষার্থী সাজিয়ে আসল পরীক্ষার্থীর জায়গায় পাঠাত নিট দুর্নীতির কারবারিরা। তারা পরীক্ষা হলে বসে নিমেষে উত্তর লিখে দিতেন। কিন্তু যত দিন গড়িয়েছে, হাইটেক যুগে ভুয়ো পরীক্ষার্থী পাঠানো মান্ধাতার আমলের এবং ঝুঁকির সিস্টেম হয়ে গিয়েছে। প্রচুর সংখ্যায় ধরাও পড়েছে। তাই কোনওভাবে প্রশ্নফাঁস করিয়ে সেই প্রশ্ন কিছু মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীদের কাছে পাঠিয়ে দিতে পারলে তিন ঘণ্টা ২০ মিনিটের বদলে এক থেকে দেড় ঘণ্টার মধ্যেই উত্তর তৈরি হয়ে যাবে। বদলে কী পাচ্ছে তারা? কেনই বা বিপদ জেনেও জড়াচ্ছে এই চক্রে? সূত্রের খবর, এর পিছনে দ্রুত কাঁচা টাকা রোজগারের লোভ কাজ করছে। এক-দু’লক্ষ টাকা ঠেকালেই এই ধরনের সাবজেক্টের এক্সপার্ট পাওয়া যাচ্ছে। পকেট মানির লোভে জড়িয়ে পড়া এইসব তরুণ-তরুণীদের বায়নাক্কাও কম। তরুণ চিকিৎসকদের অন্যতম বড় সর্বভারতীয় সংগঠন ইউনাইটেড ডক্টরস ফ্রন্ট অ্যাসোসিয়েশন’এর সর্বভারতীয় সভাপতি ডাঃ লক্ষ্য মিত্তলের দাবি, মেধাবী ডাক্তারি পড়ুয়াদের একাংশ এই দুর্নীতিতে যুক্ত বলে আমার জানা নেই। সূত্রের খবর, বিভিন্ন কোচিং সেন্টারের কর্তা, শিক্ষক-শিক্ষিকা ও ছাত্র-ছাত্রীদের একাংশ, ছোট-মাঝারি নেতারা মিলে দেশের বিভিন্ন জায়গায় আলাদা আলাদা সিস্টেমে এই চক্র চালিয়েছে।